তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লঙ্কানদের দেয়া ২৭৫ রানের টার্গেটে পাঁচ উইকেট ও নয় বল অক্ষত রেখেই পৌঁছে যায় স্বাগতিক দল। এই নিয়ে উইন্ডিজের কাছে টানা ছয়টি ম্যাচে হারল শ্রীলঙ্কা।অ্যান্টিগাতে টস জিতে সফরকারী দলকে ব্যাট করতে পাঠান উইন্ডিজ অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। দানুস্কা গুনাথিলাকা ও দিমুথ করুনারত্নে দলকে ভালো শুরু এনে দেয়ার পর জুটি বড় করতে ব্যর্থ হন।গুনাথিলাকা ৩৬ ও করুনারত্নে ৩১ রান করে আউট হন। এরপর আকিল হোসেনের স্পিনে ধসে পড়ে শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডার। পাথুম নিসাংকা, দিনেশ চান্দিমাল ও দাসুন শানাকার উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কাকে ১৪৩/৫ –এ পরিণত করেন হোসেন।
এরপর অভিজ্ঞ থিসারা পেরেরা তিন রানে রানআউট হলে দুই শর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয় ১৯৯৬ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সামনে।শেষ পর্যন্ত আসেন বান্দারা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার কারণে তেমনটি হয়নি। সপ্তম উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়েন দুই ব্যাটসম্যান। দুইজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।তাদের জুটিতেই আড়াই শ ছাড়ায় শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ। বান্দারা ৫৫ ও হাসারাঙ্গা ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন। ছয় উইকেটে ২৭৪ রানে ইনিংস শেষ করে সফরকারীরা। উইন্ডিজের পক্ষে আকিল হোসেন ৩৩ রানে তিন উইকেট নেন।জবাবে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ১০ ওভারে ভালো ধাক্কা দেয় শ্রীলঙ্কা। ওপেনার এভন লুইস ও তিনে নামা জেসন মোহাম্মদের উইকেট তুলে নেন সুরাঙ্গা লাকমাল ও হাসারাঙ্গা।সেখান থেকে উইন্ডিজকে সামাল দেন ফর্মে থাকা শেই হোপ ও ড্যারেন ব্রাভো। হোপ পূর্ণ করেন ওয়ানডে নিজের টানা ষষ্ঠ ফিফটি। তৃতীয় উইকেটে ব্রাভোর সঙ্গে ১০৯ রান যোগ করেন তিনি।৬৪ রানে হোপ আউট হলে ব্রাভোকে সঙ্গ দিতে পারেননি নিকোলাস পুরান। গুনাথিলাকার বলে ১৫ রান করে আউট হন তিনি।এরপরই আসে ম্যাচজয়ী জুটি। পোলার্ড ও ব্রাভো পঞ্চম উইকেটে ৮০ রান যোগ করে।ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে আউট হন ব্রাভো। ১৩২ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১০২ রান। ২০১৬ সালের জুনের পর এই প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেলেন তিনি।পোলার্ড পূর্ণ করেন তার ১২তম ওডিআই ফিফটি। ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।অনবদ্য সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচসেরা হন ব্রাভো। আর সিরিজ সেরা হন হোপ। ওয়ানডের আগে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই দলের দুই টেস্টের সিরিজ শুরু ২১ মার্চ।