মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৬০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ এমার্জিং দল। জবাবে ভালোই টক্কর দেয় আয়ারল্যান্ড উলভস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি তারা।
আয়ারল্যান্ড উলভসকে পাঁচ রানে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচেও জয় তুলে নিয়েছে ইমার্জিং দল। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ ইমার্জিং তাই সিরিজ জিতে নিল ৪-০ এর ব্যবধানে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারেই অধিনায়ক সাইফ হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর জয় একে একে জুটি গড়েছেন আনিসুল ইসলাম ইমন, তৌহিদ হৃদয়, শাহাদাত হোসেন ও শামিম পাটোয়ারির সঙ্গে।
কেবল এক ইমনই করতে পেরেছিলেন ৪১, অন্যরা সবাই ফিরে গেছেন ভালো শুরু পেয়েও। কোনো জুটিই পেরোয়নি পঞ্চাশের ঘর।
বড় জুটি এল ষষ্ঠ উইকেটে। আকবর আলির বদলে এই ম্যাচে মাঠে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে ৭১ রানের জুটি গড়েন জয়।
অঙ্কন ফেরেন ৩৩ রানে। তবে বাংলাদেশের হয়ে দিনের একমাত্র পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসটিকে তিন অঙ্কের ঘরে টেনে নিতে ভুল করেননি জয়। যতক্ষণে ফিরছেন অষ্টম উইকেট হিসেবে, নামের পাশে ঝলমলে ১২৩ রানের ইনিংস। আর সেই ইনিংসে ভর করে গুটিয়ে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ইমার্জিং তোলে ২৬০।
সেঞ্চুরি উদযাপনে জয়। ছবি: বিসিবি
জবাবে শফিকুল ইসলামের বোলিংয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ওভারেই জেরেমি ললরকে। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে মার্ক অ্যাডায়ার ও স্টেফেন ডোহেনির ৯৭ রানের জুটি হারের শঙ্কায় ফেলে দেয় বাংলাদেশ ইমার্জিংকে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি আয়ারল্যান্ডের বড় জুটি গড়ার ব্যর্থতায়। দ্বিতীয় উইকেটের পর আর কোনো ৫০ রানের জুটি গড়তে পারেনি সফরকারীরা।
শামিমের বলে ডোহেনি যখন ফিরে যান ৮১ রানে, তখন থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ড তুলতে পারে নয় উইকেটে ২৫৫, তাদের হারতে হয় ছয় রানে।
সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচসেরার পুরষ্কার তো বটেই, সিরিজজুড়ে দারুণ পারফরমেন্সের জন্য জয় পেয়েছেন সিরিজ সেরার পুরষ্কারও। পাঁচ ম্যাচে ৭১.২৫ গড়ে জয় রান করেছেন ২৮৫, যা দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে এখন বাকি কেবল টি-টোয়েন্টি। দুই দলের মধ্যকার একমাত্র টি-টোয়েন্টিটি হবে আগামী বুধবার।