নিউজিল্যান্ডের কুইন্সটাউনে জন ডেভিস ওভালের পিচের পাশে বসে আছেন বাংলাদেশ দলের দুই পেইসার রুবেল হোসেন ও শরিফুল ইসলাম। দুজনের গল্পটা দুরকম।
একজন বাংলাদেশের বহু ঐতিহাসিক জয়ের অংশ। আরেকজন এখনও অপেক্ষায় জাতীয় দলে অভিষেকের। অবশ্য জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের আগেই অনন্য এক কীর্তি গড়ে রেখেছেন শরিফুল। তিনি যে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য সদস্য!
সেই পরিচয় অবশ্য রোববার বদলে গেল কুইন্সটাউনে। দুজনেই হয়ে গেলেন সাক্ষাৎকারগ্রহীতা, দুজনই সাক্ষাৎকারদাতা!
প্রথমে সাক্ষাৎকার নেওয়ার পালা ছিল শরিফুলের। প্রথম প্রশ্নে জানতে চাইলেন, নিউজিল্যান্ড কেমন লাগছে এই অভিজ্ঞ পেইসারের। রুবেলের উত্তরটা সোজাসাপ্টা, আগেও এসেছেন এখানে, পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করলে মিলবে ফল।
পরের প্রশ্নে শরিফুল রুবেলকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা পেইসারদের একজন আখ্যায়িত করে জানালেন, তার কাছে দর্শকদের প্রত্যাশা অনেক। নিজের সেরাটা কীভাবে দেবেন রুবেল, এমন প্রশ্ন রাখলেন শরিফুল।
জবাবে রুবেল আবারও সাবলীল। বললেন, ‘আমি সব সময়ই চেষ্টা করি। ইনশাআল্লাহ সামনে আমি যদি সুযোগ পাই আমি আমার শতভাগ দেব। আমি আমার ভালো স্মৃতিগুলো, কীভাবে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভালো খেলেছিলাম, চেষ্টা করব নিজের মাথায় নেওয়ার জন্য এবং দলের পরিকল্পনা খুব ভালোভাবে প্রয়োগ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব।’
শেষ প্রশ্নে শরিফুলের প্রশ্নটি ছিল এই সফরের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বাংলাদেশ এখনও নিউজিল্যান্ড গিয়ে তাদের বিপক্ষে এখনও জিততে পারেনি একটি ম্যাচও। সেটি কি হবে এবারে?
রুবেলের উত্তরে আশা থাকল ভালো কিছুর, থাকলো আত্মবিশ্বাসও।
‘আমরা যে টিম আছি আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের সেই অ্যাবিলিটি আছে। ইনশাআল্লাহ আমরা যদি সবাই উইকেটের সঙ্গে খুব সুন্দরভাবে মানিয়ে নিতে পারি। আমরা সবাই যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি তো নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ’, বলেন রুবেল।
দুজনে হাত মেলানোর পর এবার প্রশ্ন করার পালা রুবেলের। জাতীয় দলের সঙ্গে শরিফুলের প্রথম বিদেশ সফর এটি। উইকেট কেমন, এমন প্রশ্নের জবাবে শরিফুলের নিখুঁত উত্তর, ‘উইকেটটা অনেক ভালো মনে হচ্ছে। স্কোরিং উইকেট। অ্যানিথিং ওয়াইড, পানিশড। জাস্ট লাইন অ্যান্ড লেংথে ঠিক করে বল করতে হবে।’
আরেক প্রশ্নে রুবেল জানতে চাইলেন, নিজের সেরা ডেলিভারি নিয়ে শরিফুল কাজ করছেন কিনা। শরিফুল জানালেন, স্ট্যাম্পে বল করাই আপাতত লক্ষ্য তার।
‘হ্যাঁ সেরা ডেলিভারিতে মনোযোগ দিচ্ছি, স্টাম্প টু স্টাম্প, হালকা সুইং’, বলেন এই তরুণ পেইসার।
কুইন্সটাউনে আপাতত পাঁচ দিনের ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ দল। ক্যাম্প শেষে ১৬ তারিখ ডানেডিনে যাবে তারা। সেখানেই ২০ মার্চ হবে প্রথম ওয়ানডে।