২০১৯ সালে হয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দুটি আসর। ২০১৮ সালের শেষে হওয়ার কথা থাকলেও জাতীয় নির্বাচনের কারণে ২০১৯ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হয়েছিল বিপিএলের ষষ্ঠ আসর।
এরপর সপ্তম আসর হয়েছিল একই বছরের ডিসেম্বর ও ২০২০ সালের জানুয়ারি মিলিয়ে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সালে মাঠে গড়ায়নি বিপিএলের অষ্টম আসর। তবে অক্টোবরে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
গত বছরের মতো চলতি বছরও বিপিএল আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। বাংলাদেশের ব্যস্ত সূচির কারণে এ বছর টুর্নামেন্টটি আয়োজনের সুযোগ হবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই বছরে বিপিএল আয়োজনের জন্য সুযোগ আছে দুটি। কিন্তু সেই দুই সময়েই সিরিজ থাকতে পারে বাংলাদেশ দলের।
‘বিপিএল হচ্ছে কি হচ্ছে না, সেটা আমরা আমাদের সূচি দেখে বলতে পারব। দুইটা উইন্ডো খোলা আছে। একটা নভেম্বরে। ওই সময়ে আবার পাকিস্তানে যাওয়ার কথা আছে। আবার ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড আসার কথা খুব সম্ভবত। সে ক্ষেত্রে বিপিএল পিছিয়ে জানুয়ারিতে হতে পারে’, বলেন এই বিসিবি পরিচালক।
ব্যস্ত ক্রিকেট সূচির কারণেই বিপিএল নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। জাতীয় দলের সব খেলোয়াড়কে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) বা জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) না পাওয়া গেলেও সবাইকে নিয়েই বিপিএল আয়োজন করতে চায় বিসিবি।
‘ক্রিকেট সূচি তৈরির মিটিংয়ে আমরা পাঁচ বছরের জন্য সূচি নির্ধারণ করছি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের যে পরিমাণে সফর ও সিরিজ আছে, অনেক সময়ই জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা এনসিএল, বিসিএল বা ঢাকা লিগে পার্টিসিপেট করতে পারবে না। আমরা চেষ্টা করব বিপিএলে যেন জাতীয় দলের সব ক্রিকেটার থাকে’, বলেন মল্লিক।
ডিপিএল ও এনসিএলের সম্ভাব্য তারিখও জানান মল্লিক। তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির ফাঁকে ফাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি সাজাতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সূচি চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত মার্চে এনসিএল এবং মে মাসে ঢাকা লিগ শুরু করব। সব কয়টি আলোচনার সিদ্ধান্ত হবে।’