ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় মাত্র ২৩২ রানে। জবাবে শাই হোপের দশম ওয়ানডে সেঞ্চুরির কল্যাণে আট উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর দারুণ শুরু পায় লঙ্কানরা। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ও দানুশকা গুনাথিলাকা মিলে দলকে এনে দেন ১০৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। দুই ওপেনারই তুলে নেন নিজেদের ফিফটি।
তাদের সেই জুটি ভাঙেন উইন্ডিজ অধিনায়ক কিয়েরান পোলার্ড। দারুণ এক ফিরতি ক্যাচে ৫২ রানে করুনারত্নেকে ফেরান পোলার্ড।
পোলার্ডের ওভারেই মঞ্চায়ন হয় নাটক। দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান গুনাথিলাকা ও পাথুম নিসাঙ্কার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু পা দিয়ে বল সরিয়ে দেন গুনাথিলাকা।
পোলার্ডের আবেদন থার্ড আম্পায়ারের কাছে গেলে ফিল্ডিংয়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট হন গুনাথিলাকা।
দুই ওপেনার ফেরার পর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। একমাত্র আশেন বান্দারা তুলে নেন ফিফটি। বাকি আট ব্যাটসম্যানের ছয়জনই আউট হন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগে। যে দুজন পৌঁছান, তারাও ২০ রানে যেতে পারেননি। ফলে ২৩২ রানেই শেষ হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার হোপ ও এভিন লুইস ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন লঙ্কানদের। তাদের ১৪৩ রানের জুটিতে ব্যাকফুটে চলে যায় শ্রীলঙ্কা।
লুইস ৬৫ রানে দুশমন্ত চামিরার বলে ফিরলেও নিজের দশম শতক তুলে নিতে ভুল করেননি হোপ। ১০ সেঞ্চুরি করতে হোপের লেগেছে ১০ ইনিংস, যা ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ক্রিকেট ইতিহাসে এর চেয়ে দ্রুত করতে পেরেছেন মাত্র চার জন কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলা, বাবর আজম ও মেগ ল্যানিং।
চামিরার বলে যতক্ষণে হোপ ১১০ রানে ফিরেছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় থেকে মাত্র ১৮ রান দূরে। সেটুকুতে আর ভুল করেননি ড্যারেন ব্রাভো ও জেসন মোহাম্মদ। দলকে তারা অনায়াসে ভেড়ান জয়ের বন্দরে।