১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ। করোনাকালীন বিধিনিষেধ শেষে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট খেলার প্রস্তুতি গ্রহণে আর কোনো বাধা নেই। সেই উদ্দেশেই কন্ডিশনিং ক্যাম্পের জন্য বুধবার ক্রাইস্টচার্চ ছেড়ে কুইন্সটাউন পৌঁছেছে টাইগাররা।স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে কুইন্সটাউনে পৌঁছায় পুরো স্কোয়াড। ক্রাইস্টচার্চ ছাড়ার আগে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।‘এটা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। আমরা জৈব সুরক্ষা বলয়ে ছিলাম। একদম আইসোলেশনে ছিলাম না। সত্যি কথা বলতে এখানে যারা ছিলেন, তারা আমাদের খুবই ভালো দেখাশোনা করেছেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট সেভাবে সব দেখাশোনা করেছে, আমরা শুধু ধন্যবাদ দিতে পারি। এটা সহজ না। কিন্তু ওরা যতটা সহজ করা যায় সেটা করেছে।’নিউজিল্যান্ডে পা রাখার পর থেকেই কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়েছে দুই সপ্তাহ। এখন নিজেদের মতো অনুশীলন করতে পারবেন। ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সে কারণে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেটাররা। কিন্তু অধিনায়ক মনে করেন লম্বা সফরের ধকল মানসিকভাবে পার্থক্য গড়ে দেয়।‘হ্যাঁ, কঠিন তো করেই। অনেক বড় পার্থক্য তৈরি করে দেয়। এখন হয়তো ৪৫ দিনের সফর করছি। সব স্বাভাবিক থাকলে হয়তো ২০-২২ দিনে বাড়ি ফিরে যেতাম। এখন ১৪ দিন আইসোলেশন করতে হচ্ছে। আপনাকে প্রত্যেকটি দেশের নিয়মকে সম্মান জানাতে হবে।’প্রথম তিন দিন ক্রাইস্টচার্চের হোটেলে বন্দি থাকার পরের পাঁচ দিন প্রতিদিন আধঘণ্টা করে হাঁটাহাঁটির সুযোগ পান তামিম-মুশফিক-মুস্তাফিজরা। এরপর গ্রুপে ভাগ হয়ে করেন নেট সেশন। প্রায় বন্দিদশা থেকে মুক্তির পর খোলা বাতাসে স্বস্তিতে আছেন দলের সবাই, জানালেন অধিনায়ক।‘ভালো দিক হচ্ছে বাইরে বের হয়েছি। পরিষ্কার বাতাসে আছি। গত দুই সপ্তাহর মতো না। যখন একটু সময় দেওয়া হতো বের হওয়ার। এখন সব ভালো।’কুইন্সটাউনে পাঁচ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষে ১৬ মার্চ ডানেডিনে যাবে বাংলাদেশ। ২০ মার্চ সেখানেই হবে নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডে।