আয়ারল্যান্ড উলভস দলের হয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন রুহান প্রিটোরিয়াস। বাংলাদেশ এমার্জিং দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয় তার।ওয়ানডে ম্যাচ চলাকালীন তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে, ওই সময় ম্যাচ স্থগিত এবং তাকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে খেলা হয়ে গেছে ৩০ ওভার আর প্রিটোরিয়াস বল করেছেন চার ওভার।চট্টগ্রামে এই বিরল অভিজ্ঞতার বিষদ জানিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী এই পেইস বোলিং অলরাউন্ডার। ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডকে তিনি জানান যে পুরো বিষয়টি তার কাছে একটা ধাক্কার মতো ছিল।‘সত্যি কথা বলতে উদ্ভট কয়েকটা দিন ছিল। প্রটোকল অনুযায়ী আমাদের সবাইকে ম্যাচ খেলার জন্য করোনা নেগেটিভ হতে হতো। কিন্তু প্রথম ইনিংসের অর্ধেক হওয়ার পর ম্যাচ থামিয়ে আমাকে মাঠ থেকে নিয়ে যাওয়া হলো। যখন আমাকে বলা হলো, আমি করোনা পজিটিভ, তখন হতবাক হয়েছি।’প্রিটোরিয়াসকে মাঠ থেকে বের করে হোটেল রুমে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। দলের ম্যানেজমেন্ট দারুণভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে, এমনটা জানান তিনি।‘আমাকে সঙ্গে সঙ্গে কমলা রঙের একটা পোশাক পরানো হয় ও অ্যাম্বুলেন্সে করে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলটা আমি সেখানেই কাটাই। দুবার পরীক্ষা করানো হয় আমার। একবার জরুরি ভিত্তিতে ও আরেকবার দলের সঙ্গে। দুইটাতেই নেগেটিভ আসে। দলের চিকিৎসকেরা জানান শুরুতে যে কোভিড পজিটিভ ফল আসে সেটা ভুল ছিল। যার কারণে আমি আবার খেলার অনুমতি পাই।’অনুমতি পেয়ে মাঠে ফিরেই দারুণ পারফর্ম করেন প্রিটোরিয়াস। এমার্জিং দলের কাছে হেরে গেলেও ব্যাট হাতে ৯০ রান করেন। এত দ্রুত আবার মাঠে ফিরতে পারবেন ভাবেননি তিনি।
‘আসলে রোববার খেলব তেমনটা ভাবিনি। আইসোলেশনে থাকার সময়টাতে কিছুটা অস্বাভাবিক লাগছিল এবং চিন্তা করছিলাম যে পজিটিভ হয়ে ১৪ দিন থাকতে হলে কী হবে! মানসিকভাবে বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি খারাপ পরিস্থিতির জন্য তৈরি ছিলাম। তবে, দুটো নেগেটিভ ফল আসার পর আমি মনোযোগ ফিরে পাই এবং নিয়মমাফিক সব করার চেষ্টা করি।’