তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল।
প্রাথমিক আইসোলেশন শেষ করে আপাতত প্রতি দিন ঘন্টা দুয়েক অনুশীলন করছেন তারা। আর মাত্র দুই দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন টাইগাররা।
আপাতত অনুশীলনে বাংলাদেশ দল কাজ করছে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। নিউজিল্যান্ডে সাফল্য পাওয়াই লক্ষ্য। তবে সেটি যে কঠিন তা সবারই জানা।
ইতিহাসও তাই বলে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে ১৭ ম্যাচে একটিতেও জয় নেই বাংলাদেশের। বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও মানছেন, নিউজিল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশনে কোনো কিছুই বাংলাদেশের জন্য সহজ হবে না।
অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের মতে, কাজটা সবচেয়ে কঠিন বোলারদের জন্য। তার মতে, লাইন-লেংথে সামান্য গলদ হলেই বাউন্ডারির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে নিউজিল্যান্ডে।
‘বোলারদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং আমার মতে। ওদের এক্সিকিউশন লেভেলটা কোন জায়গায় আছে ওটা নিশ্চিত করা ও তাদের চিন্তা কেমন তা নিশ্চিত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে লেংথের বিষয়টা খুবই জরুরি। লেংথে একটু বেখেয়াল হলেই বাউন্ডারির সুযোগ বেড়ে যায়। তো এই জিনিসগুলা খেয়াল রাখতে হবে যেন সহজ বাউন্ডারি না দেই এবং ধারাবাহিকভাবে সঠিক লাইন লেংথে বল করতে পারি।’
সম্প্রতি ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। মাহমুদুল্লাহর আশা বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের ফর্মের কথা না ভেবে নিজেদের দিকেই যেন মনোযোগ দেয়।
‘হয়ত নিউজিল্যান্ড খুব ভালো ফর্মে আছে। এগুলো মাথায় না এনে বরং আমাদের শক্তি ও দুর্বলতাগুলোর দিকে যদি ফোকাস করতে পারি তাহলে ভালো হবে। আমি মনে করি আমাদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার মানসিকতা থাকলে ভালো করব।’
কোয়ারেন্টিন শেষে কুইন্সটাউনে পাঁচ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করবে দল। দুই দলের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ২০ মার্চ ডানেডিনে।
ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটনে ২৩ ও ২৬ মার্চ বাকি দুই ওয়ানডের পর হ্যামিল্টনে ২৮ মার্চ প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। বাকি দুই টি-টোয়েন্টি হবে নেপিয়ার ও অকল্যান্ডে ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল।