জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আরেক সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে সুজনকে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব রেজিস্ট্রি ডাকযোগে রোববার এ নোটিশ পাঠান।
সাত দিনের সময় দিয়ে সুজনকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও নোটিশে বলা হয়েছে।
ঘটনা তুলে ধরে নোটিশদাতা আইনজীবী তালেব জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বন্ধুত্ব আর ভ্রাতৃত্বের স্মারক ‘লেজেন্ডস চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’ চলাকালে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। সেদিন খেলা চলাকালে আচমকা খালেদ মাহমুদ তার অগ্রজ বীর মুক্তিযোদ্ধা রকিবুল হাসানের দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় তিনি (সুজন) এতই উত্তেজিত ছিলেন যে, চেষ্টা করেও থামানো যায়নি। পরে মাঠের পাশে থাকা স্পনসর প্রতিষ্ঠানের ছাউনি পর্যন্ত উপড়ে ফেলেন, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
বিষয়টি শুধু খেলার মাঠে সীমাবদ্ধ থাকেনি। লাইভ ক্যামেরা থাকায় ছবি ও অডিও বিভিন্ন টেলিভিশন, ইউটিউব, ফেসবুকসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আঘাত করার ফলে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশকে আঘাত করার শামিল।
এ কারণে সংক্ষুব্ধ হয়ে জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন উল্লেখ করে রকিবুল হাসানের আইনজীবী তালেব নিউজবাংলাকে জানান, দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি রকিবুল হাসানও জানেন।
‘খালেদ মাহমুদ সুজন প্রকাশ্যে এভাবে একজন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে এমন আচরণ করতে পারেন না। কেননা ক্রিকেট আমাদের একটা আবেগের জায়গা। রকিবুল হাসান যদি অপরাধ করেও থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট জায়গায় অভিযোগ দিতে পারতেন। কিন্তু এভাবে প্রকাশ্যে একজনের ওপর চড়াও হওয়ার সুযোগ নাই। এ কারণে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’
নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে রকিবুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নোটিশের বিষয়টি আমি জানি না। তবে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমার কোনো ভক্ত নোটিশ দিয়ে থাকতে পারেন। এর আগেও আমি সংবাদমাধ্যমকে বলেছি, ওই দিন যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমি হতবাক, হতাশ এবং সংক্ষুব্ধ।’