ম্যাচের যখন বাকি মাত্র চার ওভার, আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের তখন জয়ের জন্য চাই ৪১ রান। হাতে আছে চার উইকেট। সেখান থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী শামীম পাটোয়ারির দারুণ ব্যাটিংয়ে দুই বল হাতে রেখেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং।
ম্যাচ জিতিয়ে শামীম ৩৯ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে চার উইকেটে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইমার্জিং দল।
টসে জিতে রোববার ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাইফ হাসান। সেই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয় শিগগিরই। দুই আইরিশ ওপেনার জেমস ম্যাককলাম ও রুহান প্রিটোরিয়াস গড়েন ৮৮ রানের জুটি।
ম্যাককলাম ৪১ রানে রানে ফিরলেও আগের ম্যাচের দিন করোনা পজিটিভ ফলাফল আসা রুহান তুলে নেন ফিফটি। সেঞ্চুরির পথেও এগুচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ৯০ রানে বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
স্টেফেন ডোহেনে, অধিনায়ক হ্যারি টেক্টর ও শেন গেটকেটের ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে ২৬৩ রানের সংগ্রহে পৌছায় আয়ারল্যান্ড উলভস।
বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন সুমন খান ও রকিবুল। একটি করে উইকেট পান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও শফিকুল ইসলাম।
জবাবে দুই ওপেনার সাইফ ও তানজিদ হাসান তামিম ভালো শুরু এনে দেন বাংলাদেশকে, গড়েন ৪৪ রানের জুটি। তানজিদ ও সাইফ ফেরার পর মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলি রাব্বি মিলে জয়ের পথেই রেখেছিলেন ইমার্জিং দলকে।
অল্প সময়ের ব্যবধানে ইয়াসির ও জয় ফিরে গেলেও তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটিতে বাংলাদেশ ইমার্জিংকে ম্যাচে রাখেন শামিম। হৃদয় ও আকবর আলি অল্প সময়ের মধ্যে বিদায় নিলে হারের সম্ভাবনা দেখা দেয় স্বাগতিকদের।
সেখান থেকে সুমন খানের সঙ্গে অপরাজিত ৪৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান শামিম।
উলভসের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন বেন হোয়াইট। একটি করে উইকেট পান প্রিটোরিয়াস, জশ লিটল ও গেটকেট।