নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে এখন ক্রাইস্টচার্চে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। সাত দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর করোনা পরীক্ষায় সবার নেগেটিভ এলে বৃহস্পতিবার অনুশীলন শুরু করেন তারা।
প্রথম দিন অনুশীলনে মূলত ফিল্ডিং নিয়েই কাজ করেছে টাইগাররা। বাংলাদেশ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন জানান, নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতেই ফিল্ডিং নিয়ে বেশি কাজ করেছেন তারা।
‘আজকে প্র্যাকটিসে সবার আগে আমরা ফিল্ডিংটা নিয়ে কাজ করেছি; শর্ট ক্যাচ এবং হাই ক্যাচ নিয়ে। কারণ, এখানে আবহাওয়া এবং বাতাসের একটা ব্যাপার থাকে, এটা মানিয়ে নেওয়ার জন্য। এরপর আমরা ছোট ছোট সেশনে ব্যাটিং এবং বোলিং করি এবং শেষে একটু ফিটনেস নিয়ে কাজ করি, যেহেতু আমরা সাত দিন খুব বেশি করতে পারিনি’, বলেন ডানহাতি এ পেইসার।
নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের ইতিহাস ইতিবাচক নয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ১৩ ওয়ানডে ও চার টি-টোয়েন্টি মধ্যে সবগুলোই হেরেছে টাইগাররা। সাইফুদ্দিন চান সেটিতে বদল আনতে; চান দেশে কিছু নিয়ে যেতে।
‘প্রত্যাশা অবশ্যই থাকবে। কারণ, ওয়ানডেতে আমরা অনেক ভালো দল। আমরা যদি সবাই ভালো খেলতে পারি, দিনটা যদি আমাদের হয়, অবশ্যই ফলাফল আমাদের পক্ষে কথা বলবে। যেহেতু এর আগে আমাদের প্রাপ্তির খাতা একদমই শূন্য, তো আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সিরিজ থেকে কিছু নিয়ে যেন দেশে যেতে পারি’, বলেন এই অলরাউন্ডার।
নিউজিল্যান্ডে এসে ৭ দিন হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। সাইফুদ্দিন জানালেন, নতুন অভিজ্ঞতা হলেও মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘প্রথম সাত দিন হোম কোয়ারেন্টিন করার পর আজকে অষ্টম দিনে প্রথম অনুশীলনে গেলাম। প্রথমবারের মতো অভিজ্ঞতা হলো, এ রকম হোম কোয়ারেন্টিন মেইনটেইন করার। স্পোর্টসম্যান হিসেবে সব ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করি।’
প্রাথমিক কোয়ারেন্টিন শেষে কুইন্সটাউনে পাঁচ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করবে দল। দুই দলের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ২০ মার্চ ডানেডিনে।
ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটনে ২৩ ও ২৬ মার্চ বাকি দুই ওয়ানডের পর হ্যামিল্টনে ২৮ মার্চ প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। বাকি দুই টি-টোয়েন্টি হবে নেপিয়ার ও অকল্যান্ডে ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল।