মুদ্রার দুই পিঠ দেখা কাকে বলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সেটি হাড়ে হাড়ে টের পেলেন আকিলা ধনঞ্জয়। এক ওভারে গড়লেন দারুণ এক কীর্তি, পরের ওভারে পেলেন বোলার হিসেবে সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাস্তি।
শ্রীলঙ্কার বেঁধে দেয়া ১৩২ রানের লক্ষ্যে দারুণ শুরু পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৩ ওভারেই তারা তুলে ফেলেছিল ৪৮। কিন্তু পরের ওভারে এসেই বাদ সাধেন ধনঞ্জয়।
টানা তিন বলে এভিন লুইস, ক্রিস গেইল ও নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নেন এই ডানহাতি স্পিনার। এই হ্যাটট্রিকটি ছিল টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের ১৪তম হ্যাটট্রিক।
কিন্তু পরের ওভারেই মুদ্রার একদম উলটো পিঠ দেখে ফেলেন ধনঞ্জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কিয়েরান পোলার্ড চালান ধ্বংসযজ্ঞ, টানা ছয় বলে মারেন ছয়টি ছয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ওভারে ৩৬ রান নেয়া তৃতীয় ব্যাটসম্যান বনে যান পোলার্ড। এর আগে সাউথ আফ্রিকার হার্শেল গিবস ও ভারতের যুবরাজ সিং গড়েছিলেন এই কীর্তি, দুটিই ২০০৭ সালে। তবে গিবস করেছিলেন ওয়ানডেতে, যুবরাজ টি-টোয়েন্টিতে। পোলার্ড তাই টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়।
এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেননি পোলার্ড। ফিরেছেন পরের ওভারেই। তবে কাজ যা করার, ততক্ষণে করে ফেলেছেন। সেটির বরাতেই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
পরে পোলার্ড জানান, তৃতীয় ছয়টি মারার পরেই জানতেন, ছয়টি মারতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘তৃতীয় ছয়টির পরই আমার মনে হচ্ছিল, আমি ছয়টি ছয় মারতে পারব। পাঁচ নম্বর ছয় মারার পর আমি বুঝে গিয়েছিলাম, বোলারকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছি আমি, তার জন্য কঠিন হবে ব্যাপারটি। আমি শুধু আমাকে বলেছি ছয় মারার চেষ্টা করতে।’
এর আগে ক্যারিবীয়দের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জোরে মাত্র ১৩১ রানেই থেমেছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংস। জবাবে সেই রান তাড়া করতে নেমে ছয় উইকেট হারালেও মাত্র ১৩.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা।