করোনা মহামারিতে থমকে থাকা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের সিরিজ শেষে বহুল প্রত্যাশিত ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর ইঙ্গিত দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
বুধবার হোম অফ ক্রিকেট মিরপুরে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন।
ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরাতে ক্যালেন্ডার তৈরি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান সুজন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের এফটিপি ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটা কনসার্ন করা আছে, সেটি মাথায় রেখে ঘরোয়া লিগের জন্যও ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটা ক্যালেন্ডার তৈরি করা হবে।’
বিশেষ করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএল, জাতীয় লিগসহ অন্য যে প্রতিযোগিতাগুলোর বিভিন্ন টুর্নামেন্টের একটি সূচি নির্ধারণ করার কাজ করছে বিসিবি।
এজন্য সংশ্লিষ্ট কমিটি থেকে সুপারিশের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান সুজন।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রক্রিয়াগত কিছু ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কমিটি থেকে সুপারিশ আসার পরই বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা প্রকাশ করতে পারব। প্রাথমিকভাবে আমাদের চেষ্টা থাকবে যত দ্রুত সম্ভব ঘরোয়া ক্রিকেটকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। এই মুহূর্তে যে গ্যাপগুলো আছে তাতে লঙ্গার ভার্সন দিয়েই হয়তো আমরা শুরু করবো। পরবর্তীতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।’
আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে সিরিজ শেষে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান বিসিবি সিইও। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের একটা সিরিজ চলছে ইমার্জিং দলের সঙ্গে। সে ক্ষেত্রে এই সিরিজের পরপরই আমরা চেষ্টা করব ঘরোয়া ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনার।’
এর মধ্যে সবাইকে করোনা টিকার আওতায় নেয়ার প্রক্রিয়া চলবে বলে জানান সুজন। বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি ভ্যাকসিনের জন্য তালিকা ইতিমধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠানো হয়েছে। ইনফরমেশন পেয়েছি এটা প্রক্রিয়াধীন। এরপর সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে দ্রুত চেষ্টা করব খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ ও গ্রাউন্ডসম্যানদের ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরলেও গত বছর হয়নি ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর। এ বছর হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্য এ বছরের একটি স্লট বের করে রাখা হয়েছে বলে জানায় বিসিবি। অপেক্ষা শুধু বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের অনুমোদনের।