এক দল খেলছে তাদের ইতিহাসের পাঁচ নম্বর টেস্ট ম্যাচ। আরেক দল টেস্ট খেলছে প্রায় এক বছর পর। টেস্টের অন্যতম নবীন দল আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের পুনর্জাগরণের পথে থাকা জিম্বাবুয়ের লড়াই হচ্ছে আবু ধাবিতে।টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম অনিয়মিত দলের বিপক্ষে ভালো করতে পারেনি আফগানিস্তানের। দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা।প্রথম দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়েও। দিন শেষে তাদের স্কোরবোর্ডে রান ১৩৩/৫। লিড দুই রানের।আবু ধাবি টেস্টের শুরুর আগে দুঃসংবাদ পায় আফগানিস্তান। দলের সেরা বোলার ও সবচেয়ে বড় তারকা রাশিদ খান আঙুলের চোটে ছিটকে যান ম্যাচ থেকে।তিন নতুন খেলোয়াড় নিয়ে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তাদের অধিনায়ক আসগর আফগান। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমান করতে সময় নেননি দলের ব্যাটসম্যানরা। অভিষেক হয় আব্দুল মালিক, মুনির আহমাদ ও আবদুল ওয়াসির।শুরু থেকেই জিম্বাবুয়ের সিমারদের তোপের মুখে পড়ে আফগান ব্যাটিং লাইনআপ। দুই পেইসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও ভিক্টর নিয়াউচি একের পর এক উইকেট তুলে নিতে থাকেন প্রতিপক্ষের।
টেস্টের প্রথম বলেই অভিষেক হওয়া মালিককে শূন্য রানে ফেরান মুজারাবানি। দুই ওভার পর রহমত শাহকে ৬ রানে আউট করেন এই দীর্ঘদেহী পেইসার।
ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলে দ্রুত গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। ৪৭ ওভার স্থায়ী হয় তাদের ইনিংস। মুজারাবানি ৪৮ রানে চারটি আর নিয়াউচি ৩৪ রানে তিন উইকেট নেন।আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন আফসার জাজাই। ৩১ রান আসে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের কাছ থেকে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে জিম্বাবুয়েও। ৩৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে স্বল্প রানে গুটিওয়ে যাওয়া শঙ্কা দেখা দেয় তাদের।
শেষ পর্যন্ত তেমনটি হয়নি দুই অভিজ্ঞ সিকান্দার রাজা ও অধিনায়ক শন উইলিয়ামসের কল্যাণে। রাজা আউট হওয়ার আগে ৪৩ রান করে পরিস্থিত সামাল দেন।
দিন শেষে ৫৪ রান করে অপরাজিত আছে উইলিয়ামস। তার সঙ্গী রায়ান বার্ল খেলছেন আট রানে। আফগানিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার আমির হামজা ৬১ রানে নেন চার উইকেট।