এই বছর অক্টোবরে ভারতে বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এবার অংশ নিচ্ছে ১৬টি দল। ১৬টি দলের মধ্যে এখনও নিশ্চিত নয় পাকিস্তানের অংশগ্রহণ।রাজনৈতিক কারণেই পাকিস্তানে সফর বন্ধ ভারতের। দেশটির নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণ নিয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারতীয় সরকার। ২০১২ সালে সবশেষ ভারতে খেলতে যায় পাকিস্তান। এমন অবস্থা বজায় থাকলে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পাকিস্তানকে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে দেখা নিয়ে শঙ্কা আছে।তেমনটি যেন না ঘটে সেই মর্মে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) সতর্ক করে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।‘আইসিসিকে পরিষ্কারভাবে বলেছি শুধু ক্রিকেটার নয়, আমাদের সমর্থক, সাংবাদিক ও বোর্ড কর্মকর্তাদের ভিসার জন্যও ভারত সরকারের কাছ থেকে লিখিত নিশ্চয়তা দরকার। আইসিসির স্বাগতিক দেশ হওয়ার চুক্তিতেও এগুলো বলা আছে। সে অনুযায়ীই আমরা চাহিদা পেশ করেছি,’ লাহোরে সাংবাদিকদের এমনটা জানান পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি।আইসিসি বিষয়টির নিশ্চয়তা দিতে দেরি করছে জানায় পিসিবি। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাকে পুরো বিষয়টি সুরাহা করতে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মানি বলেন, আইসিসি ম্যানেজমেন্টকে আমি বলেছি মার্চের মধ্যে বিষয়টা নিষ্পত্তি করতে। না হলে ভারত থেকে দুবাইয়ে টুর্নামেন্টটি সরিয়ে নেয়ার দাবি তুলব আমরা।’টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিকার দাবি করে মানি জানান তাদের সরকারের কাছ থেকে কখনও ভারতে খেলার বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।‘আইসিসির চেয়ারম্যান জানেন যে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা থেকে আমাদের কেউই বিরত রাখতে পারবে না। ভারতে যেভাবে ক্রিকেটকে রাজনীতির সঙ্গে মেলানো হয়, সেটা দুঃখজনক। ব্যক্তিগতভাবে সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবং তারও কোনো সমস্যা নেই। তবে শেষমেশ ভারত যদি তা করতে না পারে, তাহলে টুর্নামেন্ট বিকল্প ভেন্যুতে আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে আইসিসির,’ যোগ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ম্যাচের পাশাপাশি পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আইপিলেও অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আছে ভারত সরকারের। ২০২০ সালের এশিয়া কাপ যেটি হওয়ার কথা ২০২১ সালের জুনে সেটিকেও ভারতের অনুরোধে পাকিস্তান থেকে সরিয়ে শ্রীলঙ্কায় আয়োজন করছে এসিসি।