নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে ১৭টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ১৩টি ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টির একটিতেও জয়ী বেশে মাঠ ছাড়তে পারেনি টাইগাররা।
তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে ২৩ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই সফরের জন্য শুক্রবার ২০ সদস্যের দল দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
২০০৭ থেকে ২০১৯ এই এক যুগে একবারও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। দেশের মাটিতে ব্ল্যাক ক্যাপদের দুইবার ক্লিন সুইপ করলেও, তাদের মাটিতে গিয়ে বারবার নিজেদের সেই ভাগ্য বরণ করে নিতে হয়েছে তামিম-মুশফিকদের।
এবার বাংলাদেশ যাচ্ছে সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই। তৃতীয় সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকবেন বলে এই সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।
তারপরও নিউজিল্যান্ডে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিনের।
‘(নিউজিল্যান্ডে এবার জয় পাওয়া) অবশ্যই সম্ভব। এবার অভিজ্ঞ দল যাচ্ছে। করোনার কারণে এক বছর বিরতির পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। এজন্য আত্মবিশ্বাসী। আশা করি উন্নতির ধারা ঠিক থাকলে ভালো ফল দেখব’, বলেন প্রধান নির্বাচক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। তাকে বাদ দিয়ে দলে নেয়া হয়েছে আরেক বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে। মিনহাজুল জানান, তাইজুলকে লম্বা ভার্সনের জন্য বিবেচনা করছে বোর্ড।‘টেস্ট ক্রিকেটে এখন তাইজুলকে বেশি খেলানোর চিন্তাভাবনা করছি। নাসুমকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ভাবনায় রেখেছি। ঘরোয়াতেও ওর পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। আশা করছি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নাসুম নিজেকে মেলে ধরতে পারবে’, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ঘোষণা করেছে ২০ সদস্যের বেশ বড় স্কোয়াড। করোনা বাস্তবতায় ও দুই সিরিজ মিলিয়ে সেটি খুব বড় মনে হচ্ছে না। নিউজিল্যান্ডে পৌছানোর পর দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে খেলোয়াড়দের। সেজন্যই স্কোয়াড বড় করা হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচক।
‘করোনার জন্য একটু বড় স্কোয়াড দিতে হয়। ওখানে কোয়ারেন্টিন শেষ করে ক্যাম্প যখন শুরু হবে তখন সব খেলোয়াড়ের ফিট থাকার ব্যাপার আছে। এজন্য স্কোয়াড বড় করেছি। কেউ যদি ব্যাথা পায় বা কারও কোনো সমস্যা হলে নতুন করে কাউকে তখন নেয়া কঠিন’, বলেন প্রধান নির্বাচক।
নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ওয়ানডে দিয়ে ২০ মার্চ ডানেডিনে। ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটনে ২৩ ও ২৬ মার্চ বাকি দুই ওয়ানডের পর হ্যামিল্টনে ২৮ মার্চ প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। বাকি দুই টি-টোয়েন্টি হবে নেপিয়ার ও অকল্যান্ডে, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিলে।