বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওপেনার মাহমুদ, অফ স্পিনার মাহমুদ

  •    
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৫:১৭

কক্সবাজারের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টে বসেছে সাবেক তারকাদের মিলনমেলা। সেখানে এক্সপো রেইডার্সের হয়ে খেলছেন মাহমুদ। সেখানেই দেখালেন চমকের পর চমক।

খালেদ মাহমুদের বোলার হিসেবে পরিচয়টা মিডিয়াম পেসারের। গতি তেমন নেই, কিন্তু লাইন-লেংথ ধরে রাখতেন ঠিকঠাক।

অথচ লেজেন্ডস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় দিনে দেখা গেল অবাক দৃশ্য। অফ স্পিন করছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।

সেই ভ্রম থেকেই হয়ত ম্যাচ-পরবর্তী পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডামি চেক এলো ম্যাচসেরার নয়, বরং টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যানের। সেই ভুল ধরিয়ে দিলেন মাহমুদ নিজেই, তাতে বদলে আনা হলো সেটি।

কক্সবাজারের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টে বসেছে সাবেক তারকাদের মিলনমেলা। সেখানে এক্সপো রেইডার্সের হয়ে খেলছেন মাহমুদ। সেখানেই দেখালেন চমকের পর চমক।

ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থেকে বোলিং তো বটেই, ব্যাটিংয়েও দলের দুরবস্থায় ত্রানকর্তা হতেন মাহমুদ। লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে খেলতেন মান বাঁচানো ইনিংস।

সেই তিনি-ই বনে গেলেন ওপেনার। টিকলেন না বেশিক্ষণ। ফিরে গেলেন নয় বলে ১৩ করে। ৭০ বলের খেলায় নয় বল নেহায়েত কম নয়, প্রায় ১৩ শতাংশ।

পরের চমকটা বল হাতে। ব্যাটিং বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দেখে রানআপ বদলে ছোট করে আনলেন। মিডিয়াম পেস বদলে গেল অফ স্পিনে। আর তাতেই কেল্লা ফতে। ব্যাটসম্যান হুমায়ুন কবিরকে বোল্ড করে ফেরত পাঠালেন ড্রেসিং রুমে।

এরপর মিডিয়াম পেসেই ফিরলেন। সেখানেও সফলতা। হাবিবি জুয়েলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেললেন। শেষ পর্যন্ত দুই ওভারে দিলেন মাত্র আট রান, সঙ্গে দুই উইকেট। তাতে জাদুবে স্টার্সের বিপক্ষে তার দলের জয় ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে।

ক্রিকেটার সত্ত্বা যে হারিয়ে যায়নি একদমই, সেটির প্রমাণ মিললো লং অনে মাহমুদের নেয়া ক্যাচে। বলের নীচে নিজেকে এনে আগে সেট করলেন, এরপর অনায়াসে বল লুফে নিলেন। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে টুর্নামেন্ট জুড়েই ভুগছেন সাবেক ক্রিকেটাররা, তিনি সেখানে কপিবুক।

তার চমক সেখানেই শেষ নয়। ম্যাচশেষে কথা বলার সময় জানালেন, অফ স্পিন করে খালেদ মাসুদের রাজশাহীর বিপক্ষে পাঁচ উইকেটও পেয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগে!

‘আমি তো অফস্পিনার ছিলাম না। কিন্তু ফার্স্ট ক্লাসে আমার অফস্পিনে পাঁচ উইকেট আছে, রাজশাহীর বিপক্ষে। তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আসলে অফস্পিন করতে পছন্দ করি। কারণ বাঁহাতির জন্য কঠিন হবে খেলা’, বলেন মাহমুদ।

সেই ম্যাচ রংপুর গার্ডেন মাঠে হয়েছিল বলে মনে করতে পারলেও, বহু চেষ্টাতেও বছর মনে এলো না তার। সতীর্থ মেহরাব হোসেন অপিকে ডেকেও জিজ্ঞাসা করলেন, কিন্তু তাতেও এলো না উত্তর।

ক্রিকেটার সত্ত্বার পরিচয়টা রাখলেও, বয়সের ছাপ পড়েছে খেলায়। সেটি পড়বেই, সময় নামের অদৃশ্য মারণজালে বাধা পড়তে হয় সবাইকেই। ছাপ রেখে যায় অদেখা মিনিট-ঘন্টা-দিনের হিসাব।

মাহমুদ বললেন সেটিও। বললেন, চাইলেও শরীরে কুলোয় না।

‘মাঠে আসলে লড়াইয়ের চেষ্টা করি। এখন তো বয়স হয়ে গেছে, আগের মতো আর পারা যায় না। তবু চেষ্টা থাকে ফাইট করার। শরীর ওভাবে কুলায় না। কিন্তু মানসিকভাবে তো তাড়না আসেই। সেই চেষ্টাটাই থাকে।’, বলেন সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক।

মাঠের খেলা শেষ করলেও খেলার বাধন ছেড়ে যেতে পারেননি এখনও। ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচিং করান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান। জাতীয় দলের কোচও হয়েছেন, তবে তা খণ্ডকালীন।

এ বিভাগের আরো খবর