বাংলাদেশ সফরের জন্য যখন দল ঘোষণা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। ১২ জন প্রথম সারির খেলোয়াড় আসেননি করোনার ভয় ও ব্যক্তিগত কারণে। অনভিজ্ঞ এক দল নিয়েই এসেছিল ক্যারিবীয়রা।
অনভিজ্ঞ দল নিয়ে স্বাগতিকদের কাছে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হারলেও টেস্ট সিরিজে সেটার শোধ নিতে ভুল করেনি সফরকারীরা। দুই টেস্টের দুটিতেই মুমিনুল হকদের হারিয়ে ২০১২ সালের পর প্রথম বারের মত এশিয়ায় টেস্ট সিরিজ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তাদের এই জয়ের নায়ক দলের অনভিজ্ঞরাই। সিরিজ সেরা হন এনক্রুমাহ বোনার, রাখিম কর্নওয়াল নিয়েছেন ১৪ উইকেট। প্রথম ম্যাচে অনবদ্য এক ডাবল সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন কাইল মায়ার্স।
খেলোয়াড়দের এসব নৈপুণ্যেও তেমন সন্তুষ্টি নেই উইন্ডিজ কোচ ফিল সিমন্সের। ক্যারিবীয়ান এই কোচের মতে, এখনও দলে উন্নতির সুযোগ আছে সব জায়গাতেই।
সিমন্স বলেন, ‘আমার মনে হয় সব জায়গায়ই উন্নতি প্রয়োজন। আমাদের নিয়মিত প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করা প্রয়োজন অথবা ক্ষেত্রবিশেষে দ্বিতীয় ইনিংসেও। আমাদের বোলিংয়েও প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে। আমরা এই ম্যাচে (দ্বিতীয় টেস্ট) অনেক বেশি বাউন্ডারি দিয়েছি। ছোট ছোট বিষয়েও উন্নতি করতে হবে। আমরা ২০টির মত ক্যাচ ধরেছি কিন্তু ৬-৭টি ছেড়েছি, সব ক্ষেত্রেই উন্নতি চাই।’
তবে এই সিরিজকে নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের অর্জনগুলোর মধ্যে ওপরের দিকেই রাখবেন জানিয়ে সিমন্স বলেন, ‘এই সিরিজ জয় বেশ উপরের দিকেই থাকবে (অর্জনের দিক থেকে)।’
এই সিরিজে সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়রা ভালো করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ পড়েছে এক মধুর সমস্যায়। কাকে রেখে কাকে নেবেন, এমন একটি পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে ক্যারিবীয়রা। এমন সংকট অবশ্য খুশিতে ভাসাচ্ছে সিমন্সকে। জানালেন, কোচ হিসেবে এমনটিই চান তিনি।
‘কোচ, নির্বাচক হিসেবে আপনি এটিই চান (যে আপনার কাছে অনেক খেলোয়াড় থাকবে)। আপনি চান খেলোয়াড়রা জায়গার জন্য লড়াই করুক, তারা জানুক যে সুযোগ পেলে তাদের পারফর্ম করতে হবে, কারণ তাদের জায়গা নেয়ার জন্য আরও খেলোয়াড় আছে। এভাবেই ক্রিকেট এগিয়ে যাবে।’
আপাতত ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য তাই সিরিজটি প্রাপ্তিরই। সিরিজ জিতেছেন, সঙ্গে মিলেছে এক ঝাঁক নতুন খেলোয়াড়। সামান্য আনন্দ তাই করতেই পারেন সিমন্স!