ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টের দুটিতেই জুটেছে হার। ঘরের মাটিতে এভাবে সিরিজ হারের মুখোমুখি বাংলাদেশ সর্বশেষ হয়েছিল ২০১২-১৩ মৌসুমে।
অধিনায়ক মুমিনুল হকের জন্য ব্যাপারটি আরও কঠিন। টেস্ট অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকে ছয় টেস্টে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছেন মুমিনুল, সেটিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান অন্য দলের বিপক্ষে তুলনায় ভালো। টেস্ট ক্রিকেটে বয়স ২০ পেরিয়ে ২১ এ পড়া বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছে ১৪টি, ৭টিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
টেস্ট ক্রিকেটের ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও নিয়মিত টেস্ট জেতা শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। বাইরে পরের কথা, ঘরের মাঠেও জয় নিয়মিত নয়। এতে প্রশ্ন উঠেছে ২০ বছরে বাংলাদেশের টেস্টে উন্নতি নিয়ে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল বলেই দিলেন, ২০ বছরে কোনো উন্নতিই হয়নি বাংলাদেশের।
‘আসলে ২০ বছর হয়ে গেছে। আমার মনে হয় ওইভাবে কোনো উন্নতিই হয়নি। আর উন্নতির শেষ নেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুযোগ থাকে। আমরা যতদিন খেলব, যতদিন বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করব, ততদিন উন্নতি করতে হবে’, বলেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে টাইগারদের সামনে লক্ষ্য ছিল ২৩১। তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটিতে শুরুটাও দারুণ পেয়েছিলেন তারা। কিন্তু এরপরই ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় ২১৩ রানে।
ব্যাটিং ধসের কোনো কারণ খুঁজে বের করতে পারেননি মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে আমরা ভেঙ্গে পড়েছি। সেখান থেকে আমরা ফিরতে পারিনি। প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ইনিংস বলেন। ব্যাটিং ধসের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। হয়তো আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।’
ক্লিন সুইপ হওয়া নিয়ে একটু মজাও করেন মুমিনুল। বলেন, দেশের বাইরে অভিজ্ঞতা ছিল, এবার দেশের মাটিতেও হলো সেটি।
‘বিদেশের মাটিতে অভিজ্ঞতা ছিল। দেশের মাটিতেও হয়ে গেল। দল হারলে আপনি অবশ্যই হতাশ হবেন। আমাদের অনেক উন্নতি করার আছে। যেগুলো করতে পারলে হয়তো আমরা দেশে ও দেশের বাইরে ম্যাচ জিততে পারব’, বলেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক।