ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১২-১৩ মৌসুমের পর এই প্রথম বার ঘরের মাঠে কোনো টেস্ট সিরিজে এই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
প্রথম ম্যাচে কাইল মেয়ার্সের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের পর নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ম্যাচে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এ সময়ে সমালোচনা হয়েছে একাদশ বাছাই নিয়েও।
প্রথম টেস্টের একাদশে একমাত্র পেইসার ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় ম্যাচেও এক পেসার, তবে মুস্তাফিজের বদলে দলে আসেন আবু জায়েদ রাহি।
মাত্র একজন পেইসার খেলানোয় অবাক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। তার প্রশ্ন, স্কোয়াডে অলরাউন্ডার না রেখে পাঁচ পেইসার রাখার কারণ কী তাহলে?
‘আমাদের এখন অনেকগুলা পেইসার। এতগুলো পেইসার থাকতে আমি পেইসার খেলাবো না? ৫ জনকে নিয়ে এখানে অলরাউন্ডারের জায়গাটা বন্ধ করে দিয়েছে। এখানে একটা অলরাউন্ডার নেয়ার জায়গা বন্ধ করে দিয়ে ৫ জন পেইসার নিলাম কিন্তু খেলাচ্ছি না। তাহলে নেই কেন আমরা?’ প্রশ্ন রাখেন বিসিবি সভাপতি।
সব জায়গায় সমস্যা আছে- এটি স্বীকার করে নাজমুল হাসান বলেন, বাংলাদেশের বর্তমানে যে বোলারদের মধ্যে পেইসাররা এগিয়ে।
‘সমস্যা সব জায়গায় আছে এটাতো স্বীকারই করে নিচ্ছি। দুইটা টেস্ট সিরিজ দেখে বুঝেছি সমস্যা তো আছেই। একটা দেখে কিছু বলতে পারিনি তেমন। একটা ব্যাপারে সন্দেহ নাই যে আমাদের যে বোলাররা আছে তাদের মধ্যে পেইসাররা স্পিনারদের চেয়ে ভালো’, বলেন তিনি।
বিসিবি সভাপতি যোগ করেন, ‘হাতে গোনা কয়টা স্পিনার আছে আমাদের। সাকিবকে আপনি বাদ দেন। এ ছাড়া স্পিনার কয়টা? দুই-তিন জন কিন্তু অনেকগুলো ভালো পেইসার আছে।’
মুস্তাফিজ ও রাহির পাশাপাশি বাংলাদেশ একাদশে ছিলেন আরও তিন পেইসার - এবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। কিন্তু একাদশে জায়গা হয়নি কারোরই।
পেইসার খেলানো নিয়ে কোচ, অধিনায়কসহ সবার কাছে জবাব চাইবেন বলেও জানান নাজমুল।