২৩১ রান তাড়ায় নেমে ম্যাচ হারের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ান স্পিনারদের সামনে দিশেহারা স্বাগতিক দলের সংগ্রহ আট উইকেটে ১৭১ রান। জয় থেকে এখনও ৬০ রান দূরে টাইগাররা। ২-০ তে সিরিজ জিততে উইন্ডিজের চাই দুই উইকেট।
চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার মিলে ১২ ওভারেই ৫৯ তুলে ফেলে বাংলাদেশ। যা গত ১৪ ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চাশ পেরোনো ওপেনিং জুটি।
সব বদলে যায় পরের ১০ ওভারে। তাতে রান এল ১৯। গেল তিন উইকেট। দুই ওপেনারের সঙ্গে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তও।
ঢাকা টেস্টে তাই চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই প্রধান স্পিনার রাখিম কর্নওয়াল ও জোমেল ওয়ারিকানকে সামলান বেশ ভালোই। দুই ওপেনারই উইকেট দিয়ে আসেন পার্ট টাইমার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইটকে!
শুরু থেকেই তামিম ছিলেন আগ্রাসী। অন্য প্রান্তে সৌম্য ছিলেন ধীরস্থির। দুজনের জুটি যখন ৫৯ রানে ভাঙে। সৌম্যর তাতে অবদান ১৩ রান। তামিমের রান ৩৯ বলে ৪৪!
সৌম্যর আউট হওয়ার ধরন বেশ অদ্ভুত। ব্র্যাথওয়েইটের প্রথম বলটায় কাট করতে চাইলেন, হলো না। উইকেটকিপার জশুয়া ডা সিলভার হাতে লেগে বাতাসে ভেসে ওঠা বল লুফে নেন স্লিপে থাকা রাখিম কর্নওয়াল।আম্পায়ার আউট দিলেন না, সৌম্যও নড়লেন না। কিন্তু যেই না রিভিউ নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হাঁটা ধরলেন তিনি। রিভিউয়ে দেখা গেল, ব্যাটে লেগেছে বল।
তামিম ফিফটি তুলে নেন মাত্র ৪৪ বলে। এটি ছিল তার টেস্টে ২৮তম ফিফটি। ফিফটি ছোঁয়ার পরের ওভারেই ব্র্যাথওয়েইটের বলে শর্ট মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ককে।
শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হক সেশনটা প্রায় শেষ করে এনেছিলেন। চা-বিরতির ঠিক আগের ওভারে কর্নওয়ালের একটি বল লাফিয়ে উঠল সামান্য। তাতেই শর্ট লেগে শেন মোসলিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত।