দ্বিতীয় সেশনে লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের জুটিতে আশায় ছিল বাংলাদেশ। পুরো সেশনে কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে বাংলাদেশকে তারা নিয়ে যান ২৭২ রানে। তৃতীয় সেশনে পাল্টে গেল সবকিছু।
দিনের শেষ সেশনে বাংলাদেশ টিকতে পারল মাত্র ৫৩ বল। সেই সময়ে চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ২৯৬ রানে। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়েছে ১১৩ রানের লিড।
রাখিম কর্নওয়ালের এক ওভারে টানা তিন বলের মধ্যে ফিরে যান লিটন ও নাঈম হাসান। স্লিপে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে লিটনকে ৭১ রানে ফেরান জার্মেইন ব্ল্যাকউড। রিভিউ নিলেও, তাতে শেষরক্ষা হয়নি লিটনের। এক বল পরেই ব্ল্যাকউডকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নাঈমও।
পরের ওভারেই শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে সফরকারী অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইটকে ক্যাচ দিয়ে ৫৭ রানে ফিরে যান মিরাজ। তাইজুল ইসলামের ১৩ রানের সুবাদে ৩০০ এর কাছাকাছি গিয়ে ২৯৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার কর্নওয়াল তুলে নেন পাঁচ উইকেট। তিনটি শিকার করেন গ্যাব্রিয়েল, দুটি উইকেট পান আলজারি জোসেফ।
এর আগে দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশ হারায় আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনকে। তবে তাদের বিদায়ের পর ১২৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখেন লিটন ও মিরাজ।
দ্বিতীয় দিনে ৪০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে সেদিনই ১০৫ রান তুলতে বাংলাদেশ হারায় চার উইকেট।
প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।