ভারত অধিনায়ক ভিরাট কোহলি মনে করেন সিরিজের শেষ তিন টেস্টে ইংল্যান্ডকে আরো ‘কঠিন লড়াইয়ে’ নামতে হবে। চার ম্যাচ সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে সফরকারীদের কাছে ২২৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিক ভারত।
অধিনায়ক কোহলি একাই কিছু সময়ের জন্য লড়াই করে গেছেন ভারতীয়দের জন্য। শেষ পর্যন্ত ২৪তম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান বোল্ড হন বেন স্টোকস এর নিচু হয়ে আসা বলে। ফলে ৭২ রানে থেমে যায় কোহলির ইনিংস। মাত্র এক মাস আগে এই ভারতীয় দলটিই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের মাটিতে সিরিজ জিতে এসেছে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় ১৯৮৮ সালের পর প্রথম টেস্ট হেরেছে অজিরা। কোহলি বলেন তার দলটি ফের লাড়াইয়ে নামার জন্য প্রস্তুত।
ম্যাচ হারের পর তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি দল, যারা এই ব্যর্থতাকে মেনে নিয়েছি এবং এই হার ও ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। এটি নিশ্চিত যে সিরিজের বাকি তিনটি টেস্টে আমরা কঠিন লড়াই করব এবং এ ম্যাচের মত এক বিন্দুও ছাড় দেব না।’
গত মাসে শ্রীলংকা সফরে গিয়ে দুই টেস্টে যথাক্রমে ২২৮ ও ১৮৬ রানের ইনিংস খেলা জো রুট প্রথম ইনিংসে ২১৮ রান করে ইংল্যান্ডকে ৫৭৮ রানের পাহাড়ে দাঁড় করালে জবাবে ভারত থেমে যায় ৩৩৭ রানে। ফলে প্রথম ইনিংসেই ২৪১ রানের লিড নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন গ্রহন করে ইংল্যান্ড।
সফরকারীদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করলেও ইংলিশরা অপেক্ষকৃত বেশী প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে মানতে নারাজ কোহলি। তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া যখন প্রথম টেস্ট জিতেছিল তখনও এমন কথাই বলা হয়েছিল। তবে সেটি নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না বা সিদ্ধান্তে আসতে চাই না। আসলে মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি।আপনি হয়তো বলতে পারেন তারা বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। তবে বলতে পারেননা তারা আমাদের চেয়ে বেশী প্রস্তুতি নিয়েছে। আমাদের হোম কন্ডিশনকে তারা কোনভাবেই সঠিক পরিমাপ করতে পারবে না।’
কোহলির নেতৃত্বে হার দিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর শুরু করার পর তিনি দেশে ফিরে আসলেও শেষ পর্যন্ত আজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে পরের তিন ম্যাচে দুই জয় লাভের মাধ্যমে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ভারত দেশে ফিরলে চাপ আরো বেড়েছে কোহলির উপর।
দ্বিতীয় ইনিংসে অফ স্পিনার রভিচন্দ্রন আশউইন ছয় উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশদের গুড়িয়ে দেন ১৭৮ রানে। এ সময় বাঁহাতি শাহবাজ নাদিমও দলকে কিছুটা সহায়তা করেছেন। সুন্দর ও শাহবাজকে বাইরে রেখে বোলিং বিভাগের সমালোচনাও করেন কোহলি। তিনি বলেন,‘ প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার জন্য আপনাকে বোলিং বিভাগের সহায়তা নিতে হবে। আপনি যদি ফাস্ট বোলার বা অশ্বিনের কথা বলেন তাহলে বলব তারা সঠিক জায়গায় ভাল বোলিং করেছে। তবে মিতব্যয়ী বল করেছে ওয়াশিংটন ও শাহবাজ। এতেই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে।’