চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ঊরুর চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব আল হাসান। পরের তিন দিনে আর ফিরতে পারেননি মাঠে। বাইরে থেকেই দেখেন বাংলাদেশের হার।
সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও সাত উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সেই মিরাজ মানছেন, সাকিব মাঠে থাকলে ফল হতে পারতো ভিন্ন।
‘সাকিব ভাই চোটে পড়ায় আমাদের টিমে অনেক বড় একটা প্রভাব পড়েছে। এবং তার বোলিং তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল টিমের জন্য। হয়তো সাকিব ভাই থাকলে আরও ভালোভাবে কামব্যাক করতে পারতাম। তিনি মাঠে থাকলে স্পিনারদের বিভিন্ন রকম তথ্য দিতেন এবং নিজেও ভালো বোলিং করতেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাকিব ভাইকে মিস করেছি’, বলেন মিরাজ।
চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন সাকিব। মিরাজ মানছেন, সাকিবের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব নিতে হবে বাকি তিন স্পিনার মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানকে।
‘সাকিব ভাই থাকলে অনেক ভালো হতো। ভুলগুলো কম হত ও আত্মবিশ্বাস বেশি পেতাম। এখন আমি আছি, তাইজুল ভাই আছে, নাঈম আছে। তিন জনের ওপরে বেশি দায়িত্ব থাকবে। চেষ্টা করব ভালো জায়গায় বল করার জন্য। ওদেরকে খেলতে না দেয়ার চেষ্টা করব স্পিনাররা’, বলেন এই অলরাউন্ডার।অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচয় পাওয়া মিরাজ জাতীয় দলে এসে বনে গেছেন পুরোদস্তুর অফ স্পিনার। জাতীয় দলের হয়ে অবশেষে চট্টগ্রাম টেস্টে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিরাজ। বর্তমানে না হলেও, ভবিষ্যতে মিডল অর্ডারে খেলার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
‘এখন তো সুযোগ নেই উপরে ব্যাটিং করার, কারণ আমাদের পরিপূর্ণ ক্রিকেটার আছে। মনে করি ৪-৫ বছর পরে আমার সুযোগ আসতেও পারে। হয়তো সেই সময় নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত করে উপরে ব্যাটিং করতে পারব। মনে করি তার জন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। নিজের ব্যাটিংকে প্রতিনিয়ত ঝালাই করতে হবে ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে উন্নতি করতে হবে’, বলেন মিরাজ।
১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। ১-০ তে পিছিয়ে থেকে সিরিজ বাঁচাতে এই টেস্টে জয় ভিন্ন উপায় নেই টাইগারদের।