সাগরিকায় অবিশ্বাস্য এক অপরাজিত ২১০ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েছেন অভিষিক্ত কাইল মায়ার্স।
অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দারুণ এক রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি। এর আগে অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করেন পাঁচ ব্যাটসম্যান। মায়ার্স ষষ্ঠ। তবে মায়ার্সই প্রথম, যার ডাবল সেঞ্চুরি এসেছে চতুর্থ ইনিংসে।
বাকি যে পাঁচ জন এই কীর্তি গড়েছেন, তাদের কারও টেস্ট ক্যারিয়ারই ঠিক দুর্দান্ত হয়নি। ব্রেন্ডন কুরুপ্পুর তো ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল চার টেস্টেই! বাকিদের মধ্যে কেবল লরেন্স রো-ই ক্যারিয়ার শেষ করতে পেরেছেন ৪০ এর বেশি গড় নিয়ে।
তেমনটি হতে চান না মায়ার্স। ম্যাচের পর ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বলেন, এক ম্যাচের বিস্ময় হয়ে থাকতে চান না তিনি।
‘আমি খেলাটির একজন ছাত্র। আমি সব সময় নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করি। আমি এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক দিকগুলো নেব। উন্নতি করা সবসময়ই একটি দারুণ পদক্ষেপ। আমি এই ম্যাচ থেকে যতটুকু পারি শিখব এবং পরের ম্যাচে নিয়ে যাব যেখানে আমি শূন্য থেকে শুরু করব। এক ম্যাচের বিস্ময় হয়ে থাকতে চাই না। আমি আমার ক্যারিয়ারজুড়ে ধারাবাহিক ও সফল হতে চাই’, বলেন মায়ার্স।
এই ইনিংস থেকে নিজের সম্পর্কে শিখেছেন বলে জানান এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, ‘এটি আমার দীর্ঘতম ইনিংস ছিল। শিখেছি যে আমি ধৈর্য ধরতে পারি। আমি শিখেছি যে আমি স্কোরবোর্ড কিংবা কন্ডিশনের কথা চিন্তা না করে উইকেটে থেকে যতটা লম্বা সময় সম্ভব ব্যাট করতে পারি। এই ম্যাচ থেকে আমি ধৈর্য শিখেছি।’
আরেক অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান এনক্রুমাহ বোনারের সঙ্গে ২১৬ রানের জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের ভিত গড়েছিলেন মায়ার্স। সেই জুটির সময় স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাননি বলে জানান তিনি।
‘আমরা শুধু উপভোগ করতে চেয়েছি। এটি আমাদের প্রথম ম্যাচ তাই আমরা শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। আমরা স্কোরবোর্ডের দিকে না তাকানোর চেষ্টা করেছি। আমরা জানতাম আমরা যদি লম্বা সময় ব্যাটিং করি, দল ভালো অবস্থানে থাকবে। আমরা লম্বা সময় ব্যাটিং করেছি এবং একে অপরকে ইতিবাচক থাকতে বলেছি’, বলেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান।