চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে তিন উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের পথেই ছিল টাইগাররা।
শেষ দিনে কাইল মায়ার্সের অবিশ্বাস্য ২১০ রানের ইনিংসে তিন উইকেটের জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যে ইনিংস সাকিব আল হাসান দেখেছেন মাঠের বাইরে বসে।
দ্বিতীয় দিনে ঊরুর চোট পাওয়ায় মাঠ ছাড়তে হয় সাকিবকে। এরপর আর ফিরতে পারেননি মাঠে।সেখান থেকেই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছেন, পঞ্চম দিনে মায়ার্স-বোনারদের আউট করতে মাথা কুটে মরেছেন তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান।সাকিবের করার ছিল না কিছুই। তাই মায়ার্স যখন ছয় মারেন তাইজুলকে, সাকিবের দিকে ফেরানো টেলিভিশন ক্যামেরায় দেখা যায় তার উদাস মুখচ্ছবি। চোট নিয়ে মাঠ থেকে মুমিনুল হক উঠে আসলে তাকে উপদেশ দেন, কিন্তু তাতে লাভ হয় না।
ম্যাচ শেষে মুমিনুলও তাই বললেন, সাকিবের অভাব অনুভব করেছেন তিনি।
‘হ্যাঁ, বলতে পারেন (সাকিবকে মিস করেছি)। সাকিব ভাই থাকলে বোলিং অনেক গোছানো হত। যেহেতু উনি সিনিয়র বোলার, সিনিয়র ব্যাটসম্যান, সবাইকে আগলে রাখতে পারতেন। না থাকায় মিস করেছি, বিশেষ করে বোলিংয়ে’, বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মুমিনুলের সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ ঢাকা টেস্ট। ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টেস্টে সাকিব খেলবেন কি না, এখনও সেটি নিয়ে আছে শঙ্কা।
যে চোটে সাকিব পড়েছেন, সেই চোট থেকে সেরে উঠতে এক থেকে দুই সপ্তাহ লাগে সাধারণত। সেরকম হলে সাকিবের খেলার সম্ভাবনা সামান্য দ্বিতীয় টেস্টে।
মুমিনুল নিশ্চয়ই সেটি চাইবেন না। মুমিনুল নিশ্চয়ই চাইবেন, ঢাকা টেস্টে সাকিবকে নিয়েই নামবে বাংলাদেশ দল।