অবিশ্বাস্য এক ডাবল সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঐতিহাসিক এক জয় এনে দিয়েছেন কাইল মায়ার্স। অপরাজিত ২১০ রানের এক ইনিংসে বাংলাদেশের বেঁধে দেওয়া ৩৯৫ রানের লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ টপকে গেছে তিন উইকেট হাতে রেখেই।
এর আগে অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র পাঁচ ব্যাটসম্যান। টিপ ফস্টার, লরেন্স রো, ব্রেন্ডন কুরুপ্পু, ম্যাথু সিনক্লেয়ার ও জ্যাক রুডলফ। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সেই ডাবল করলেও মায়ার্স অনন্য ছিলেন অন্য জায়গায়।
বাকি পাঁচ জন তাদের ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন দলের প্রথম ইনিংসে। অভিষেকের চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়ায় ডাবল সেঞ্চুরি, এমনটি করেননি আর কেউ।
আরও একটি অনন্য রেকর্ড করেছেন মায়ার্স। এশিয়ায় চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়ায় এর আগে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারেননি আর কেউই। সর্বোচ্চ ছিল ইউনুস খানের অপরাজিত ১৭১। সেটি ভেঙে শীর্ষে এখন মায়ার্স।
সফল রান তাড়ায় অবশ্য সর্বোচ্চ ইনিংসটি নয় মায়ার্সের। সেটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজের, ২১৪। মায়ার্স আছেন দুই নম্বরে। এরপরে যারা আছেন, তাদের কেউই ডাবল সেঞ্চুরি পাননি।
নিজের অভিষেকে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও মায়ার্সের। দুই নম্বরে থাকা আব্বাস আলি বেগ করেছিলেন ১১২, যেটি মায়ার্সের ইনিংসের প্রায় অর্ধেক।
আরেক অভিষিক্ত এনক্রুমাহ বোনারের সঙ্গে যে ২১৬ রানের জুটি গড়েছেন মায়ার্স, সেটিও টেস্টে দুই অভিষেকের গড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। সর্বোচ্চ ২৪৯ রানের জুটিটি খালিদ ইবাদুল্লাহ ও আবদুল কাদিরের।
মায়ার্সের ডাবলে যে জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেটিও রেকর্ড গড়েই আসা। ৩৯৫ রান তাড়া করে জয় এশিয়ায় সর্বোচ্চ, ক্রিকেট ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ নিজেরাও অবশ্য রেকর্ড গড়েছে একটি। ঘরের মাটিতে এত রান করে এর আগে আর হারেনি বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে ফতুল্লায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪২৭ রান করেও হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার হারলো প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রান করে।
প্রথম টেস্ট হারার পর এখন চাপেই বাংলাদেশ। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে সিরিজ বাঁচাতে জয় ভিন্ন আর উপায় নেই টাইগারদের। ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ এর জয়ের পর এমনটি নিশ্চয়ই আশা করেনি বাংলাদেশ!
তবে দিনটি আপাতত শুধুই মায়ার্সের। প্রায় একা হাতেই এনেছেন জয়। তার যোগ্য সম্মানটা দিচ্ছে রেকর্ড বইও।