২০১৯ সালে শুরু হয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০২১ সালে হবে ফাইনাল। সব দলের কাছাকাছি সংখ্যার টেস্ট খেলার জন্য এই টুর্নামেন্টের আয়োজন হলেও, পয়েন্ট টেবিলে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈষম্য।
ইংল্যান্ড ১৭টি টেস্ট খেলেছে, অস্ট্রেলিয়া ১৪টি, ভারত ১৩টি। অথচ বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র তিনটি!
করোনাভাইরাস প্রকোপে কাটা গেছে অনেক টেস্ট। নয়ত বাংলাদেশের সংখ্যাটা থাকত আরেকটু বেশি।
বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো চান আরও বেশি টেস্ট খেলতে। তিনি মনে করেন, উন্নতির জন্য বাংলাদেশের আরও বেশি টেস্ট খেলা প্রয়োজন।
‘টেস্ট ক্রিকেটে আমরা অনেক গুরুত্ব দিতে চাইছি। আমরা উন্নতি করতে চাই। আমি জানি, ঘরের বাইরে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো নয়। এই দলের আরও বেশি টেস্ট খেলা প্রয়োজন’, বলেন ডমিঙ্গো।
তিনি যোগ করেন, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অনেক দল ১৬-১৭টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে, অথচ আমরা মাত্র ৩টি। ধারাবাহিকতা ধরে রাখা কঠিন। বছরে মাত্র ৩-৪টা টেস্ট খেলা হয়। যত বেশি খেলব, তত ভালো করব এবং আশা করি উন্নতিও করব।’
এই উদ্দেশ্যেই টেস্ট দলে নিয়মিত পেইসার খেলাতে চাইলেও চট্টগ্রাম টেস্টে সেটি পারেননি ডমিঙ্গো। স্পিন সহায়ক পিচে তাই দলে মাত্র এক পেইসার। পিচের আচরণ দেখেই পেইসারদের না নেওয়ার সিদ্ধান্ত, এমনটিই বলেছেন টাইগারদের হেড কোচ।
‘চেষ্টা করছি দলে ফাস্ট বোলারদের ভেড়ানোর। এমন উইকেটে অবশ্য কঠিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশ দেখুন- তাদের কেমার রোচ ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের মত অভিজ্ঞ দুই পেইসার আছে। ২৩০ রানের মত খরচ করে তারা মাত্র ২ উইকেট পেয়েছে এই পিচে। তাই এই উইকেটে ফাস্ট বোলারদের ভালো করা কঠিন’, বলেন ডমিঙ্গো।