দিনটা আরও ভালো হতে পারত বাংলাদেশের জন্য।
দিনের প্রথম বলেই তাইজুল ইসলাম তুলে নেন উইকেট। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট ও জার্মেইন ব্ল্যাকউডের ফিফটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চোখ রাঙালেও শেষ দিকের ধসে তারা গুটিয়ে যায় ২৫৯ রানে। বাংলাদেশ পায় ১৭১ রানের লিড।
অথচ দিন শেষে বাংলাদেশের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা। শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা হারিয়েছে তিন উইকেট।
তিন উইকেটে ৪৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। টাইগারদের লিড ২১৮।
বাংলাদেশের জন্য চিন্তার কারণ সাকিব আল হাসানের ঊরুর চোট। ব্যাট করতে পারবেন কি না, এখনও সেটি নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। চতুর্থ দিনে অনেকখানি দায়িত্ব নিতে হবে এই জুটিকে।
চা বিরতির পরপরই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে রাখিম কর্নওয়ালের বলে ফেরেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত।তামিমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন কর্নওয়াল, রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তামিম। এক বলের বিরতি। তারপর অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত।
সাদমান ইসলাম ও মমিনুল হকের ধৈর্যশীল ৩২ রানের জুটি সামাল দেয় পরিস্থিতি। সেই জুটি ভাঙেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। সাদমানের শরীর বরাবর শর্ট বলে উইকেটকিপার জশুয়া সিলভার সহজ ক্যাচ বানিয়ে তাকে ফেরান ক্যারিবিয়ান পেইসার।
দিনের বাকি সময়টুকু পার করে দিয়েছেন মমিনুল ও মুশফিকুর রহিম। মুশফিক আউট হলেও হতে পারতেন।
কর্নওয়ালের একটি বল প্যাড দিয়েই ফেরান মুশফিক। প্যাডে লেগে বাতাসে ভাসা বলটি লুফেও নিয়েছিলেন শর্ট লেগের ফিল্ডার।জোরালো আপিল করেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউও নেয়নি সফরকারীরা।অথচ রিপ্লেতে পরে পরিষ্কার হয় প্যাডের সঙ্গে মুশফিকের গ্লাভসেও লেগেছে বল।
আপাতত মুশফিক তাই ক্রিজে আছেন ১০ রানে। তার সঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক মমিনুল। তিনি অপরাজিত ৩১ রানে।
এর আগে দুই উইকেটে ৭৫ নিয়ে দিন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের প্রথম বলেই তাইজুল ইসলাম ফেরান এনক্রুমাহ বোনারকে। এরপর অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েইট ও কাইল মায়ার্স গড়েন ৫৫ রানের জুটি।
ব্যক্তিগত ৭৬ রানে নাঈমের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ব্র্যাথওয়েইট। মায়ার্সকে ফেরান মিরাজ। এরপরই ব্ল্যাকউড ও ডা সিলভার ৯৯ রানের প্রতিরোধ।
নাঈমের বলে কাট করতে গিয়ে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জশুয়া। মিরাজের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে খেলতে গিয়ে তিন বল পর ফেরেন ব্ল্যাকউড।
চা-বিরতির পর তৃতীয় বলেই মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেট বাউন্ডারিতে মোহাম্মদ মিঠুনকে ক্যাচ দেন কিমার রোচ। মিরাজের পরের ওভারে বোল্ড হয়ে ফেরেন রাখিম কর্নওয়াল।
দিনের শুরুর মতো ওয়েস্ট ইনিংসের শেষটাও টানেন তাইজুল। জোমেল ওয়ারিকান তাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন। অফ স্টাম্পে বল লাগলে বাজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের বিদায়ঘণ্টা।
মিরাজের চার উইকেটের পাশাপাশি দুটি করে উইকেট শিকার করেন তাইজুল, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাঈম।
এর আগে মেহেদি হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে ভর করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ।