চট্টগ্রাম টেস্টের আগেই খেলেছেন ২২ টেস্ট। চার বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে দুটি ফিফটি আসলেও এতদিন ছিল না কোনো সেঞ্চুরি।
সেই খাতা মেহেদি হাসান মিরাজ খুললেন বৃহস্পতিবার। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ১৬০ বলে প্রথমবার তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার ১০৩ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৪৩০।
ম্যাচের পর মেহেদি জানান, তার এই সাফল্য তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের টোটকায়।
‘তামিম ভাই সেদিন আমাকে একটা পরামর্শ দিয়েছেন, জোরে বলগুলো কীভাবে খেলতে হবে, শরীরের দিকে আসা বলগুলো কীভাবে খেলতে হবে। তামিম ভাই শুধু একটা কথা বলেছেন যে, শরীরের দিকে আসা বলগুলো সোজা রাখার জন্য, এটা যেন ঘুরিয়ে না দেই। আজকে এটা প্রয়োগ করেছি।
‘গ্যাব্রিয়েল যখন আমাকে শরীর বরাবল বল করেছে, যতটা সম্ভব সোজা রাখতে পেরেছি এবং লিভ করে দিয়েছি।’
মিরাজ আরও জানান, মুশফিক তাকে অনুশীলনে নিয়ে আসতেন। মুশফিকের উপদেশও সহায়তা করেছে তাকে।
তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে ট্রেনিং করেছি। তখন মুশফিক ভাই একটা কথা বলেছেন যে, সোজা খেলতে হবে এবং বাইরের বলে যেন খোঁচা না দেই। এটা যেন ছেড়ে দেই। পাশাপাশি সবসময় যেন মনোযোগ ধরে রাখি এবং বল টু বল খেলার চেষ্টা করি। দুজনের পরামর্শই অনেক কাজে লেগেছে।’
মিরাজ যখন উইকেটে আসেন, অন্য প্রান্তে ছিলেন সাকিব আল হাসান। এই অলরাউন্ডার বলেন, সাকিবও তাকে সাহায্য করেছেন সেঞ্চুরি করার পথে।
‘আমি যখন উইকেটে এসেছি, তখন একটু নার্ভাস ছিলাম। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে আমি কথা বলছিলাম যে, ভাই কী করলে ভালো হয়। সাকিব ভাই একটা কথা বলেছেন, নরমাল ক্রিকেট খেলতে। যদি আত্মবিশ্বাসী থাকি যে মারলে পার হয়ে যাবে (সেটা যেন খেলি)। যে শটই খেলি যেন কনফিডেন্স নিয়ে খেলি।’
বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০১৬ সালে পা রাখা এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘যেমন মাঝখানে হয়তো আমি নিজের চাপ কমাতে একটা স্লগ সুইপ চেষ্টা করব, তখন সাকিব ভাই আমাকে বলেন যে, এখানে স্লগ সুইপের চেয়ে প্যাডল সুইপ করলে ভালো।
‘তখন আমার মাথায় চিন্তাটা কাজে লেগেছে যে, আমি যদি স্লগ সুইপের বদলে প্যাডল সুইপ খেলি তাহলে হয়তো ভালো হবে। আউট হওয়ার চান্স কম থাকবে। এসব ছোট ছোট জিনিস অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যা আমাকে সাহস দিয়েছে।’