অনূর্ধ্ব-১৯ দলে তার পরিচয়টা ছিল অলরাউন্ডারের। বোলিং তো করতেনই, ব্যাট করতেন মিডল অর্ডারে।
জাতীয় দলে এসে সেই পরিচয় পাল্টে গিয়ে হয়ে গেল শুধু অফ স্পিনার। ব্যাটিং অর্ডারে খেলেছেন লোয়ার অর্ডারে।
ব্যাটিংটা যে পারেন, সেই পরিচয় জাতীয় দলেও দিয়েছেন। ভারত ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে ফিফটি আছে, ওয়ানডেতেও আছে একটি। কিন্তু ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ নিয়মিতভাবে কখনোই দেখাতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজ।
সেটিই দেখালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে। ইনিংসজুড়ে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা উইকেটে সেট হয়েছেন বটে, কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। লম্বা করলেন মিরাজ। নিজের ২৩তম টেস্টে এসে প্রথম বারের মতো টেস্টে তিন অঙ্ক ছুঁলেন তিনি।
নাঈম হাসানের সঙ্গে জুটিটা ভালোই এগোচ্ছিল। কিন্তু নাঈম যখন আউট হন, তখনও সেঞ্চুরি থেকে ৮ রান দূরে মিরাজ।
জোমেল ওয়ারিকান যখন ১৪৮তম ওভারটা শুরু করছেন, মিরাজের রান তখন ৯৩। প্রথম বলেই কাট করে চার মারলেন, পরের বলে কাট করে আরও দুই নিয়ে তিনি পৌঁছালেন ৯৯ রানে।
এরপর এক বলের বিরতি। ওভারের চতুর্থ বলটা প্যাডল সুইপ করে তিন অঙ্কের ঘরে মিরাজ ঢুকলেন ১৬০ বলে।
সেঞ্চুরির পথে মিরাজ মেরেছেন ১৩টি চার। শটের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল ৯০ শতাংশ।
উইকেটে যখন এসেছিলেন, পাশে ছিলেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি ভাঙার পর তাইজুল ইসলামের সঙ্গে গড়েন ৪৪ রানের জুটি।
তাইজুলের বিদায়ের পর নাঈমের সঙ্গে দ্রুতগতির ৭৭ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ৪০০ রান পার করান মিরাজ। এরপর নিজের শতক তুলে নিতে গড়েন মুস্তাফিজের সঙ্গে জুটি।
শেষ পর্যন্ত রাখিম কর্নওয়ালের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে শেষ উইকেট হিসেবে মিরাজ ফিরেছেন ১০২ রানে। বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ৪৩০ রানে।