দিনের শুরুটা সাদমান ইসলাম করেছিলেন কভার ড্রাইভে কিমার রোচকে চার মেরে। দিন শেষে বাংলাদেশের উইকেট পড়ল সেই চারের একটি বেশি। সাদমানের ফিফটিতে টাইগাররা প্রথম দিন শেষ করেছে পাঁচ উইকেটে ২৪২ রানে।
প্রথম দুই সেশনে চার উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দিনটি আরও খারাপ যাওয়ার শঙ্কা ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। সেই শঙ্কা কাটান সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। শেষ বিকেলে তাদের অপরাজিত ৪৯ রানের জুটি সামান্য হলেও এগিয়ে রাখছে বাংলাদেশকে।
৩৯ ও ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন সাকিব ও লিটন।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা চার দিয়ে হলেও, সেই হাসি মুছে যায় পঞ্চম ওভারে। রোচের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল।বিপদ কাটিয়ে উঠে আর উইকেট না হারিয়ে প্রথম সেশন শেষ করার পথে ছিলেন সাদমান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় নিজেদের মধ্য ভুল বোঝাবুঝি। তাতে রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন ২৫ রানে।
মুমিনুল হকও ভাল জুটি গড়েন সাদমানের সঙ্গে। ইনিংস বড় করতে পারেন টাইগার স্কিপার। জোমেল ওয়ারিকানের বলে বাজে শট খেলে ফেরেন ২৬ রান করে।
ততক্ষণে নিজের ক্যারিয়ারের এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন সাদমান। ফিফটির ছোঁয়ার পর পরই আউট হন তিনি।
ওয়ারিকানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ৫৯ রানে ফেরেন সাদমান। রিভিউ না নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরা সাদমান নিশ্চয়ই পরে আফসোস করেছেন। কেনো নেননি! নিলেই বেঁচে যেতেন!
পরবর্তীতে রিপ্লেতে দেখা যায়, লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল ডেলিভারিটি। রিভিউ নিলেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হতেন আম্পায়ার।
সাকিবের সঙ্গে মুশফিকের পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ৫৯। আবারও ঘাতক হয়ে দাঁড়ান ওয়ারিকান। দারুণ এক ডেলিভারিতে স্লিপে রাখিম কর্নওয়ালের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মুশফিককে।
কর্নওয়াল অবশ্য দিন শেষে উইকেটশূন্য থাকার জন্য দায় দিতে পারেন এনক্রুমাহ বোনারকে। ব্যক্তিগত ১০ রানে কর্নওয়ালের বলে লিটন শর্ট লেগে থাকা বোনারকে ক্যাচ দিয়েছিলেন। সেটি ধরতে পারেননি তিনি।
বেঁচে গিয়ে আর কোনো ভুল করেননি লিটন। চোখ ধাঁধানো কিছু শটের প্রদর্শনীতে সাকিবের সঙ্গে দিন শেষ করেন অপরাজিত থেকে।
সাকিবও ছিলেন ধৈর্য্যের প্রতিমূর্তি। ৩৯ রান করতে খেলেছেন ৯২ বল। নিজের স্বভাবজাত আক্রমণটা এদিন আড়াল করেই রাখেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
শেষ সেশনে এক উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তুলে আপাতত সামান্য ব্যবধানে হলেও এগিয়ে বাংলাদেশ।