প্রায় এক বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের পর আর পাঁচ দিনের ম্যাচ খেলা হয়নি টাইগারদের।
সেই ধারা ভাঙছে আরেক ফেব্রুয়ারিতে এসে। ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দুই টেস্টের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০১৮ সালে টেস্টে ২-০ ব্যবধানে ক্লিন সুইপ করে বাংলাদেশ। এবার করোনার ভয় ও ব্যক্তিগত কারণে তাদের সঙ্গে আসেননি ১২ জন প্রথম সারির খেলোয়াড়। এই সিরিজে পাল্লাটা তাই বাংলাদেশের দিকেই ঝুঁকছে।
দীর্ঘ বিরতির পর টেস্ট খেলতে নামায় বাংলাদেশের দিকে জড়তা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটিকের স্বাগতিকদের দুর্বলতা মানছেন সফরকারীদের কোচ ফিল সিমন্স।
‘আমার ধারণা তাদের দুর্বলতা থাকবে টেস্টের শুরুর দিকে। গত এক বছরে তারা টেস্ট খেলেনি। এক বছর পর মাঠে নেমে হয়ত তাদের একটু দুর্বলতা থাকবে’, বলেন সিমন্স।
এই দুর্বলতা বেশিক্ষণ টেকার সম্ভাবনা সামান্য উল্লেখ করে সিমন্স বলেন, ‘আমি নিশ্চিত দ্রুতই তারা এই বিষয়টির সমাধান করবে। তামিম ও সাকিবের মত খেলোয়াড়দের নিয়ে তাদের অভিজ্ঞ একটি দল রয়েছে।’
গত এক বছরে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট খেললেও, কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলার ভাগ্য হয়নি বাংলাদেশের। এজন্য ক্যারিবিয়রা এগিয়ে আছে, এমন মানতে নারাজ সিমন্স।
‘মনে হয় না এটি (বাংলাদেশের তুলনায় বেশি ম্যাচ খেলা) আমাদের এগিয়ে রাখবে। বাংলাদেশে খেলা হলে এক বছর টেস্ট না খেলা সত্ত্বেও স্বাগতিকরাই সব সময় এগিয়ে থাকবে। তারা ঘরের মাটিতে খুবই শক্তিশালী দল, বলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হেড কোচ।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের পর দুই দল ফিরবে ঢাকায়। সেখানে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১১ ফেব্রুয়ারি।