বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো দায়িত্ব পাওয়ার পরই জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের একটি পেইস বোলিং ইউনিট গড়তে চান তিনি। সেই লক্ষ্যে ঘরের মাঠে নিয়মিত পেইসার খেলানোর চেষ্টা ছিল এই সাউথ আফ্রিকানের।
চট্টগ্রামে ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্ট। সেখানেও ডমিঙ্গো চাইছিলেন যথেষ্ট পেসার খেলাতে। সেই লক্ষ্যে ১৮ জনের স্কোয়াডে ছিল পাঁচ পেসার। এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, মুস্তাফিজুর রহমানের পাশাপাশি ছিলেন তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
চট্টগ্রামের পিচ দেখার পর কোচের কপালে দেখা দিয়েছে চিন্তার ভাঁজ। উইকেটে যে পেইসারদের জন্য কিছুই নেই!
‘চট্টগ্রামের পিচ আমরা গত দুই দিনে যতটা দেখেছি, তাতে সেখানে পেইসাররা হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারবেন বলে মনে হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক যে পিচ এ রকম। নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা আমাদের শক্তির জায়গা অনুযায়ী খেলব’, এক ভিডিও বার্তায় বলেন ডমিঙ্গো।
তিনি জানান, পেইস বোলিং ইউনিট তৈরির জন্য তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কিন্তু যে পিচে পেইসারদের জন্য কিছুই নেই, সেই পিচে তাদের নামানো বোকামি।
‘আমরা চাচ্ছি একটি পেইসারদের গ্রুপ তৈরি করতে। কারণ দেশের বাইরে তারা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যদি তাদের সহায়তা করে না এমন উইকেটে পেইসারদের নিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজানো হয়, সেটি বোকার মতো কাজ হবে। অভিষিক্ত কোনো পেইসারের জন্য এমন পিচে খেলা কঠিন ব্যাপার’, বলেন এই সাউথ আফ্রিকান।
ডমিঙ্গো জানান, নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনা করে বোলিং আক্রমণ সাজাবেন ম্যাচের আগে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচকদের সঙ্গে আগামীকালের (মঙ্গলবার) মধ্যে পেইস ও স্পিন মিলিয়ে একটি আদর্শ বোলিং লাইনআপের ব্যাপারে আলোচনা করব। কন্ডিশন ও পিচ পর্যবেক্ষণ করে একাদশ কেমন হবে সেটিও আগামীকাল নিশ্চিত করব।’
বাংলাদেশ স্কোয়াডে পাঁচ পেসারের পাশাপাশি আছেন চার স্পিনার। সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে আছেন নাঈম হাসান।