মুহূর্তটা দারুণ বলা যেতে পারে। ২০০৯ সালে লঙ্কানদের ওপর ভয়ংকর হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যেন এক দুঃস্বপ্ন হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে দেশটিতে ক্রিকেট ফিরেছে। ১৪ বছর পর পাকিস্তানে খেলতে যায় সাউথ আফ্রিকা।
করাচিতে এমন মুহূর্তটা স্মরণীয় করে রেখেছে পাকিস্তান।
প্রথম টেস্টে প্রোটিয়াদের সাত উইকেটে হারাল পাকিস্তান। সাউথ আফ্রিকার দীর্ঘ সাত বছরের জয়রথ থামিয়েছে তারা। ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা।
সবশেষ আবুধাবিতে প্রোটিয়াদের সাত উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান।
এবার টেস্ট সিরিজে অভিষেক করেই বাম হাতের স্পিন বোলিং জাদুতে আফ্রিকাকে বলতে গেলে একাই ধসিয়ে দেন নোমান। ৩৫ রানে পাঁচটি উইকেট শিকার করেন তিনি।
সঙ্গে ইয়াসির শাহও দারুণ স্পিন জুটি উপহার দিয়ে চার উইকেট তুলে নিলে ২৪৫ রানে থামতে হয় সাউথ আফ্রিকাকে।
মাত্র ৮৮ রানের টার্গেটে নেমে সাত উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। নিজেদের দ্বিতীয় ও টেস্টের শেষ ইনিংসে বাবর আজমের ৩০ ও আজহার আলীর অপরাজিত ৩১ রানের জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে পাকিস্তান।
এর আগে বৃহস্পতিবার খেলাটা একটু জমিয়ে ফেলে সাউথ আফ্রিকা। চার উইকেটে ১৭৪ রান তোলে সফরকারীরা। কিন্তু তাদের শেষ ইনিংসে ১০ রানের মাথায় ইয়াসির ও নোমানের তিন উইকেট বলতে গেলে ম্যাচের মোড়ই পরিবর্তন করে দেয়।
এর আগে পাকিস্তান ৩৭৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড ছুড়ে দেয় আফ্রিকাকে। সেখানে সফরকারীরা তুলতে পেরেছিল মাত্র ২২০ রান।
ব্যাকফুটে থাকা আফ্রিকাকে ফিরতে হলে পাকিস্তানকে অলআউট করতে হতো। করাচিতে এই অসম্ভব কাজটা করা হয়নি প্রোটিয়াদের। বলতে গেলে হেসে-খেলেই তাদের হারায় পাকিস্তান দল।
এ জয়ে সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে সবশেষ সাত টেস্টের দুটিতে জিতেছিল পাকিস্তান। দুটিতে হারে ও চারটিতে ড্র করে আয়োজকরা। সব মিলে ২৭ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ১৫টি, পাকিস্তান জিতেছে পাঁচটিতে; ড্র হয়েছে সাতটি ম্যাচ।
১৪ বছরে এটাই সাউথ আফ্রিকার প্রথম টেস্ট সিরিজ পাকিস্তানে। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টটি শুরু হবে ৪ ফেব্রুয়ারি।