ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচে সর্বাধিক সাত উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বদৌলতে আইসিসির বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। নয় ধাপ ওপরে ওঠে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো সেরা পাঁচে জায়গা করে নেন মিরাজ।
শুধু তাই নয়, জাতীয় দলের জার্সিতে চার বছর ক্যারিয়ারে প্রথমবার সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছেন এই বোলার।
আইসিসির বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে এমন প্রমোয়াশন কল্পনা করেননি মিরাজ। ৬৯৪ পয়েন্ট নিয়ে ৯ ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে আছেন এই তরুণ অলরাউন্ডার।
র্যাঙ্কিংয়ে সেরা পাঁচে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার খুশির সংবাদটা মিরাজকে তার সতীর্থরাই প্রথম জানিয়েছেন। শুনে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি।
মিরাজ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি আসলে চিন্তাও করতে পারিনি সেরা পাঁচে থাকতে থাকব। খুব ভালোই লাগছে যখন শুনতে পেরেছি এবং সবাই যখন টিম মেটরা উইশ করেছে এবং খুব ভালো লাগছে।’
লাল বলে মিরাজের সফলগাঁথা অনেক। তবে সাদা বলে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না তিনি। ধারাবাহিক হওয়ার পেছনে নিজের পরিশ্রমের গল্প শোনালেন মিরাজ।
বলেন, ‘একটা জিনিস দেখেন যখন আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি আমার চিন্তা ছিল যে শুধু আমি লাল বলেই খেলব না সাদা বলেও খেলব কিন্তু আমি নিজেকে ঐভাবে মেন্টালি প্রিপারেশন নিয়েছি।
‘চেষ্টা করেছি ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে হলে কিভাবে ভালো করতে হবে এবং আমার কোন কোন জায়গায় ডেভেলপ করতে হবে চিন্তা করেছি ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে হলে আমার বোলিং ইকোনমিটা ঠিক রাখতে হবে এবং ব্রেক থ্রু দিতে হবে মাঝে মধ্যে যখন টিমের প্রয়োজন।’
দলের প্রয়োজনে রান কম দেয়ার দায়িত্বটা বোঝার চেষ্টা করছেন বলে জানান মিরাজ।
বলেন, ‘আমি যখন বোলিং করি চেষ্টা করি দলের প্রয়োজনে ইকোনমিটা ঠিক রাখার জন্য এবং যদি টিমের প্রয়োজন হয় ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার জন্য। এটাই আমি সবসময় চেষ্টা করি এবং ওই অনুযায়ী বল করি।’
সিরিজে দারুণ বল করা মুস্তাফিজুর রহমান ১১ ধাপ এগিয়ে আছেন ৮ নম্বরে। উইন্ডিজ সিরিজে ৬ উইকেট শিকার নেয়া দ্য ফিজের সংগ্রহে ৬৫৮ পয়েন্ট।
সতীর্থ ও বন্ধু ফিজের এমন ফিরে আসায় দলের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে বলে মন্তব্য করেন মিরাজ।
বলেন, ‘আমাদের সবার জন্য এটা অনেক ভালো জিনিস মুস্তাফিজুর টপ টেনের মধ্যে আছে। মুস্তাফিজ অনেক ওয়ার্ল্ড ক্লাস বোলার এবং ও কী করেছেও ওয়ানডে ক্রিকেট দেশকে অনেক অনেক জয় এনে দিয়েছে মুস্তাফিজ। ওর জন্য এ রকম একটা জিনিস দরকার ছিল।
‘লাস্ট অনেক দিন ও ছন্দে ছিল না বাট আমার কাছে মনে হয় এই সিরিজে অনেক ভালো বল করেছে এবং আমার মনে হয় যে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা প্লেয়ারই হ্যাপি ওর পারফরম্যান্সে।’
দীর্ঘ বিরতির পর দলের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি মিরাজ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়নি যে আমরা ১০/১১ মাসে আমরা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলেনি আমরা বাইরে ছিলাম। টিমের প্রত্যেকটা প্লেয়ারই ভালো খেলেছে এবং মেন্টালি সবাই সবাইকে ব্যাক আপ করেছে সাপোর্ট দিয়েছে আমার কাছেও ভালো লেগেছে।’