করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সফরে আসেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোয়াডের ১২ সিনিয়র সদস্য। যার ফলে আনকোরাদের নিয়েই তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলতে এসেছে উইন্ডিজ।১২ ক্রিকেটাররের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শেই হোপ। উইন্ডিজ জাতীয় দলের হয়ে ৩৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলা এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ছিলেন দলের নিয়মিত সদস্য। করোনার ভয়ে বাংলাদেশে না আসলেও নিজ দেশ বার্বেডোসে বসেই করোনা আক্রান্ত হলেন তিনি।ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সুপার ফিফটি কাপের জন্য বার্বেডোস দলের সদস্য ছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টের আগে রোববার দলের সব খেলোয়াড় ও সদস্যের কোভিড পরীক্ষা করানো হয়।সদস্যদের মধ্যে হোপ ও তার ভাই কাইল হোপের করোনা ধরা পড়েছে। বুধবার সকালে বার্বেডোস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) নিশ্চিত করে এই তথ্য। ফলে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্টটিতে অংশ নিতে পারছেন না দুই ভাই।বিসিএ জানায় শেই ও কাইল হোপ এখন চিকিৎসকদের অধীনে আইসোলেশনে আছেন। এই দুই জনের বদলে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে টেভাইন ওয়ালকট ও জ্যাকারি ম্যাকেসকিকে।
হোপের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার দিন হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রের কোভিড মুক্তির খবর দিয়েছে উইন্ডিস ক্রিকেট বোর্ড। ঢাকায় এসে করোনা পজিটিভ হন এই লেগ স্পিনার। ফলে, ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পারেননি তিনি। কোভিড মুক্ত হওয়ায় আইসোলেশন শেষে ওয়ানডে দলের সদস্যদের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন তিনি।
সিনিয়র খেলোয়াড়দের ছাড়া বাংলাদেশে এসে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে টেস্ট সিরিজ।