নিষেধাজ্ঞা থেকে সাকিব আল হাসানের ফেরার অতীত বেশ চমকপ্রদ। এবারও ব্যতিক্রম হলো না।
২০১৪ সালে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই করেছিলেন ১৬ বলে ৪৪ রান। ওই বছরেই তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে টেস্টে ফিরে প্রথম ম্যাচে ছয় উইকেটের পর দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরির সঙ্গে নেন ১০ উইকেট।
এবার ফিরেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে। কিন্তু ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় এই নিষেধাজ্ঞাতেও ধার কমেনি সাকিবের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে চার উইকেট তুলে নিয়ে হন ম্যাচসেরা।
পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন বাকি দুই ম্যাচেও। দ্বিতীয় ম্যাচে দুই উইকেট ও অপরাজিত ৪৩ রানের পর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে হাঁকান ফিফটি।
সব মিলিয়ে সিরিজে সাকিবের ঝুলিতে পড়েছে ছয় উইকেট ও ১১৩ রান। সিরিজ সেরার পুরস্কারটাও উঠেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের হাতেই।
সিরিজ সেরার পুরস্কার নেয়ার সময় সাকিব বলেন, তার এমন পারফরম্যান্সের পেছনে অনেকখানি অবদান তার সতীর্থ ও কোচিং স্টাফের।
‘আমার মনে হয় কোচিং স্টাফ এবং আমার সতীর্থদের অনেক কৃতিত্ব প্রাপ্য। তারা আমার প্রথম ম্যাচটিকে সহজ করে তুলেছিল। আমি সব সময়ই জানতাম, আমার একটু সময় লাগবে। প্রথম ম্যাচের পর আমি সেই আত্মবিশ্বাস পাই। সময়ের সঙ্গে আমি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি।’
তৃতীয় ওয়ানডের ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে ৬৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা মুশফিকুর রহিমের হাতে।
শেষ ম্যাচে ১২০ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথম ম্যাচটি হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। পরের টেস্টটি শুরু হবে ঢাকায়, ১১ ফেব্রুয়ারি।