বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশাল জয়ে উইন্ডিজকে ক্লিন সুইপ

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:২৫

১২০ রানের জয়ে ৩-০ এর ব্যবধানে সিরিজ জয়ের, সঙ্গে ২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব ওয়ার্ল্ড সুপার লিগও বাংলাদেশ শুরু করল পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট নিয়ে।

কথায় আছে, সকালের সূর্য দিন কেমন যাবে, সেটির আভাস দেয়। বাংলাদেশ দল অবশ্য এটির সাথে এখন দ্বিমত করতেই পারে।

নইলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে তৃতীয় ওয়ানডে তো হারতেই হতো টাইগারদের। প্রথম ওভারেই যে নেই লিটন দাস!

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামার পর আলজারি জোসেফের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে শূন্য রানে লিটন ফেরেন ম্যাচের পঞ্চম বলে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্তও।

সব প্রবাদ যে সত্য হয় না, সেটির প্রমাণ বাকি সময়টুকুতে দিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৯৭। জবাবে ১৭৭ রানে গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ।

ফলে ১২০ রানের জয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের সঙ্গে ২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব ওয়ার্ল্ড সুপার লিগও বাংলাদেশ শুরু করল পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট নিয়ে।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। প্রথমবার ছিল ২০০৯ সালে। এই সিরিজ জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পঞ্চম সিরিজ জয় পেল বাংলাদেশ।

দিনের খারাপ শুরুটা শেষে জয় এনে দিলেও সেই জয়ে মিশে আছে সামান্য দুশ্চিন্তা। বোলিং করার সময় কুঁচকিতে চোট পান সাকিব। আর বোলিংই করতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, মাঠ ছাড়েন সঙ্গে সঙ্গেই। টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে সাকিবের চোট নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

বাজে শুরুর পর তামিম-সাকিবের ব্যাটে গুছিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। দুজনের ফিফটির পর রানের চাকা সচল করেন মুশফিকুর রহিম।

মুশফিকের ফিফটির পর শেষ দিকে ঝড় তোলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৪৩ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে যান ২৯৭ রানে।

কাকতালীয়ভাবে, মুশফিক এবং তামিমও করেন ৬৪। সাকিব করেন ৫১।

জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গল্পটা প্রথম দুই ম্যাচের মতই। নিজের প্রথম স্পেলেই জোড়া আঘাত করে সফরকারীদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন মুস্তাফিজুর রহমান, তুলে নেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ২০০তম উইকেট।

পুরো ইনিংসে বড় জুটি গড়তে পারেনি ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানরা। সর্বোচ্চ ৩৮ রানের জুটি আসে সপ্তম উইকেটে, ততক্ষণে ম্যাচ বাংলাদেশের পকেটে।

মুস্তাফিজের শুরুর আঘাতের পর মেহেদি হাসান মিরাজের দুই উইকেটের কিপটে বোলিং। সঙ্গে মাঝের ওভারে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের তিন উইকেট। আর প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ওয়ানডে একাদশে ফিরে শেষ উইকেটটা তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন তাসকিন আহমেদ।

তাতে খুব সহজ জয় বাংলাদেশের। যা পুরো সিরিজেরই প্রতিফলন। কোনো ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি ক্যারিবিয়রা। সামান্য প্রতিরোধ এসেছিল রভম্যান পাওয়েলের ব্যাট থেকে, সেটি বজায় থাকল তৃতীয় ম্যাচেও। ৪৭ রান করে তিনিই উইন্ডিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

এখন দুই দলের মিশন টেস্ট সিরিজ। ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে শুরু হবে টেস্ট সিরিজ। তার আগে বাংলাদেশ দলের চিন্তা এখন সাকিবের চোট কতটা গুরুতর, সেটি নিয়েই।

এ বিভাগের আরো খবর