শেষ বার ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৭ সালের অক্টোবরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হিসেব করলে, সবশেষ খেলেন ২০১৮ সালের মার্চে নিদাহাস ট্রফিতে।
এরপর জাতীয় দলে এক রকম ব্রাত্যই হয়ে পড়েন তাসকিন আহমেদ। সঙ্গে যুক্ত হয়ে চোট। ২০১৯ সালের শুরুতে যেমন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দারুণ খেলে নিউজিল্যান্ড সফরের দলে জায়গা পেয়েছিলেন। কিন্তু বিপিএলের শেষ ভাগে গোড়ালির চোটে পড়ে যাওয়া হয়নি সেই সফরে।
এরপর ছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে, বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ট্রাই নেশন ট্রফিতেও দলে ছিলেন। সেখানে ম্যাচ খেলা হয়নি, বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডেও জায়গা পাননি।
বিশ্বকাপের পরপর শ্রীলংকা সফরের দলে থাকলেও একাদশে সুযোগ মেলেনি তার।
২০২১ সালে এসে ভাগ্য আবারও পক্ষে যায় তাসকিনের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে জায়গা মেলে। তবে সেটি পেলেও, প্রথম দুই ওয়ানডের একাদশে সুযোগ হয়নি এই পেসারের।
সুযোগ পেলেন তৃতীয় ম্যাচে। এসেই তুললেন গতির ঝড়।
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বদলে বোলিংয়ে তাসকিন এলেন সপ্তম ওভারে। প্রথম বলেই পরাস্ত করেন এনক্রুমাহ বোনারকে। চতুর্থ বলে কাইল মায়ার্সের কাছে চার খেলেও সেই বলে গতি তুলেছেন ঘন্টায় ১৪৫ কিমি। পরের দুই বলেও গতি ছাড়ালো ১৪০ কিমি।
প্রথম ওভারে ছয় রান দেওয়ার পর পরের তিন ওভারে তাসকিন রান দিলেন মাত্র দুই। তাতে তিন বছরেরও বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে তাসকিন প্রথম স্পেলের চার ওভারে দিলেন মাত্র আট রান।
দ্বিতীয় স্পেলের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি তার। ২৭তম ওভারে এসে দ্বিতীয় বলেই করে বসেন নো বল। ফ্রি-হিটে অবশ্য জাহমার হ্যামিল্টনের স্টাম্প ভেঙেছিলেন, কিন্তু তাতে রান বাঁচানো ছাড়া লাভ হয়নি কোনো। সেই ওভারের পঞ্চম বলে অবশ্য চারও হজম করেন তিনি।
নিজের সর্বশেষ ওয়ানডেতে দুই উইকেট পেলেও সোমবার এখনও উইকেট ভাগ্যে জোটেনি তাসকিনের।