তৃতীয় ওয়ানডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের ৩০তম ওভার চলছে তখন, বল করছেন সাকিব আল হাসান। জাহমার হ্যামিল্টন বলটা লং অনের দিকে ঠেলে দিলে বলটা ধরতে এগুচ্ছিলেন সাকিব কিন্তু হুট করেই বলের দিকে যাওয়ার বদলে থেমে গেলেন তিনি।
পরের বলটা করেই নিজের বাম কুঁচকি ধরে বসে পড়েন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মাঠে ছুটে আসেন বাংলাদেশ দলের ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতো।
সাকিবের ব্যথা বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে সাকিবকে কিছু ছোট মুভমেন্টও করতে বললেন জুলিয়ান। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হলো না, ব্যথা তাতে কমেনি সাকিবের। তাই বাধ্য হয়ে ওভার শেষ না করেই সাকিবকে মাঠ ছাড়তে হয়।
ওভারের বাকি থাকা বলটি করেন সৌম্য সরকার। ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৪.৫ ওভার বল করে উইকেট না পেলেও মাত্র ১২ রান দেন সাকিব।
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ সাকিবের। ছিলেনও দারুণ ফর্মে। প্রথম ম্যাচে চার উইকেটের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও নিয়েছিলেন দুটি উইকেট। ব্যাট হাতে প্রথম ম্যাচে ১৯, দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত ৪৩ এর পর তৃতীয় ম্যাচে ফিফটি তুলে নেন সাকিব।
কুঁচকির চোট এর আগেও ২০০৮ সালে পেয়েছিলেন সাকিব। সেবার এ-দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে এই চোটে পড়েন তিনি। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসা করান চোটের।