পঞ্চ পাণ্ডবের মাশরাফি মোর্ত্তজা নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। সামনে থাকবেন, সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ। এই সিরিজে তাই নতুন শুরুই বলা চলে বাকি চার পাণ্ডব - তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের।
সেই নতুন শুরুটা মন্দ হয়নি তাদের। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজটা নিজেদের করে নিয়েছেন। তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ পায় প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ। সেই সুযোগের পুরোটা নিয়ে নিজেদের বিরল এক কীর্তির পুনরাবৃত্তি ঘটালেন এই চার জন।
২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রান তাড়ায় নেমে ফিফটি করেছিলেন চারজন। তামিমের ৯৫ এর পর মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিক করেন যথাক্রমে ৬২ ও ৬০। আর সাকিব ম্যাচ জিতিয়ে অপরাজিত থাকেন ৫২ রানে।
ছয় বছর পর আবারও একই ইনিংসে চার ফিফটির দেখা পেলেন এই চার ব্যাটসম্যান। পাওয়ার প্লের মধ্যে লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তকে হারানোর পর ফিফটি তুলে নিয়ে বাংলাদেশ ইনিংসের ভিত্তি গড়েন তামিম ও সাকিব। মুশফিক সচল করেন রানের চাকা এবং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে ২৯৭ রান পর্যন্ত নিয়ে যান মাহমুদুল্লাহ।
কাকতালীয়ভাবে তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ- তিন জনই করেন ৬৪। অন্যদিকে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়ে সাকিব করেন ৫১।
ফিফটি তুলে নেন মুশফিক-রিয়াদ দুজনেই। ছবি: বিসিবি
তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ অবশ্য এক সঙ্গে পঞ্চাশের বেশি করেন ২০১৯ বিশ্বকাপে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে তামিমের ৬২ এর সঙ্গে মুশফিক করেন অপরাজিত ১০২। মাহমুদুল্লাহ খেলেছিলেন ৫০ বলে ৬৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। পুরো বিশ্বকাপে একমাত্র সেই ম্যাচেই পঞ্চাশ পেরোতে পারেননি সাকিব। আউট হয়েছিলেন ৪১ রানে।
তামিম, সাকিব ও মুশফিক- এই তিন জন শেষ বার এক সঙ্গে ফিফটি পান ২০১৮ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। তামিম করেন ঠিক ঠিক ৫০। মুশফিকের ৬২ এর সঙ্গে সাকিব করেছিলেন ৬৫। মাহমুদুল্লাহ সেই ম্যাচে করেছিলেন ৩০।
শেষ বার যখন চার পাণ্ডব একসঙ্গে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন, বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সহজেই জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে টাইগাররা চাইবেন, চার ফিফটির সিভাবে ২৯৭ রানের পুঁজি রক্ষা করে সিরিজটা ৩-০ এর ব্যবধানে জিতবে তারা।