সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে প্রথমবারের মত আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেল বাংলাদেশ। টসে জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ।
সুযোগ পেয়ে ভুল করেননি টাইগার ব্যাটসম্যানরা। চার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ তুলে নিয়েছেন ফিফটি। কাকতালীয়ভাবে, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ - তিন জনই করেন ৬৪।
তাদের ব্যাটে ২৯৭ রানে ইনিংস শেষ করে টাইগাররা। যেটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর।
ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে প্রথম ওভারে আলজারি জোসেফের শিকার হয়ে ফিরে যান লিটন দাস। অধিনায়ক তামিমের সঙ্গে ৩৭ রানের একটি জুটি গড়ার পর নাজমুল হোসেন শান্তও একই পথ ধরে ২০ রানে ফেরেন কাইল মায়ার্সের বলে।
সেখান থেকে তামিম ও সাকিবের ৯৩ রানের জুটিতে ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করে বাংলাদেশ। ৭০ বলে নিজের ৪৯তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকা হয়নি তামিমের। ৬৪ রানে জোসেফের বলে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
সাকিব ও মুশফিকের ৫২ বলে ৪৮ রানের জুটিতে সচল হয় রানের চাকা। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেওয়ার বল তিনেক পর রেমন রাইফারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় সাকিবকে।
সাকিব ফেরার পর রানের গতি বাড়ানোয় মনোযোগ দেন মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ। তাদের ৬১ বলে ৭২ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে পথে থাকে বাংলাদেশ। তিন চার ও এক ছয়ে নিজের ফিফটি মুশফিক তুলে নেন মাত্র ৪৭ বলে।
রেইফারের বলে জোসেফকে ক্যাচ দিয়ে মুশফিক ফেরার পর বাকিটা ছিল মাহমুদুল্লাহ শো। মুশফিক যখন আউট হন, ২৯ বলে ৩৩ রান তখন মাহমুদুল্লাহর। এরপর খেললেন ১৪ বল। সেই ১৪ বলে ৩১ রান নিয়ে দলকে পৌঁছে দেন ২৯৭ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রাইফার এবং জোসেফ দুটি এবং কাইল মায়ার্স একটি উইকেট শিকার করেন। ভুলে যাওয়ার মত এক অভিষেক হয়েছে কিয়ন হার্ডিংয়ের। ১০ ওভারে ৮৮ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন এই পেসার।