ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বোলিং তেমন যুতসই হয়নি মেহেদি হাসান মিরাজের। সাত ওভারে ২৯ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন এক উইকেট।
সেটি দ্বিতীয় ম্যাচে পুষিয়ে দিলেন এই অফ স্পিনার। ২৫ রানে চার উইকেটের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৮ রানে গুড়িয়ে দেওয়ার নায়ক তিনিই, যার জন্য হিসেবে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরষ্কারও।
মিরাজ দলে থাকলেও স্কোয়াডে আছেন তার একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী। মেহেদি হাসান, তাইজুল ইসলাম - দুজনই মিরাজের বদলে একাদশে সুযোগ পাওয়ার দাবিদার ছিলেন সিরিজ শুরুর আগে থেকে। স্কোয়াডের বাইরে আরও আছেন নাঈম হাসান, নাসুম আহমেদরা।
তবে মিরাজ জানান, অন্যদের নিয়ে চিন্তা করেন না তিনি। বরং নিজের সঙ্গেই প্রতিযোগিতায় নামেন মিরাজ।
‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট পারফর্ম করে খেলতে হবে। আমি যদি ভালো না করি তাহলে আমাকে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে আরেকজনকে সুযোগ দিতে হবে। এখন দেখেন প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের প্রতিযোগিতা করে খেলতে হচ্ছে।
‘ কিন্তু দিনশেষে আমার নিজের সাথে নিজের প্রতিযোগিতাই বেশি। কে বসে আছে বা খেলছে না সেটা আমি চিন্তা করি না। কিন্তু আমি সবসময়ই চেষ্টা করি যে নিজের সাথে নিজে প্রতিযোগিতা করার জন্য। যদি নিজের সাথে নিজে জিতি তাহলে অনেক ভালো ফিল করি এবং খুশি থাকি’, বলেন মিরাজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেলেই যেন জ্বলে ওঠেন মিরাজ। এর আগে একবারই ওয়ানডেতে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন, সেটিও ২০১৮ সালে ক্যারিবিয়দের বিপক্ষেই। মিরাজ নিশ্চয়ই চাইবেন, চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচেও জ্বলে উঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করতে!