ঘরের মাঠে সিরিজগুলোয় সাধারণত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেশি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। টাইগারদের ‘হোম অফ ক্রিকেট’ খ্যাত স্টেডিয়ামে অবিসংবাদিত সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান।
এমনটি বলছে পরিসংখ্যান। শুধু বাংলাদেশিদের মধ্যে নয়, সারা বিশ্বে আর কোনো ক্রিকেটারের একটি নির্দিষ্ট স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে ২,৫০০ রান ও ১০০ উইকেটের রেকর্ড নেই। যেটি মিরপুরে আছে সাকিবের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আলজারি জোসেফকে চার মেরে মিরপুরে সাকিব নিজের রান নিয়ে যান ২৫১৭ রানে। যে কোনো একটি স্টেডিয়ামে কোনো ব্যাটসম্যানের করা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এটি। জোসেফকে মারা চারে সনাথ জয়াসুরিয়ার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে করা ২৫১৪ রানকে টপকে যান সাকিব।
সাকিবের ওপরে শুধু আছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিফটি তুলে নিয়ে তামিম মিরপুরে তার রান নিয়ে গেছেন ২৭১৩ রানে।
বোলিংয়েও যেকোনো এক স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ উইকেটের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাকিব। তার সামনে কেবল ওয়াসিম আকরাম। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১২২ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন পাকিস্তানি এই কিংবদন্তি।
মিরপুরে সাকিবের উইকেট ১১৯টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে এরই মধ্যে দুই ম্যাচে ছয় উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। শেষ ওয়ানডেটি চট্টগ্রামে হওয়ায় আপাতত আকরামকে টপকানোর সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি।
সাকিবের এই বিশেষ ডাবলের কাছাকাছি নেই কেউ। একটি নির্দিষ্ট মাঠে দুই হাজারের বেশি রান আছে মাত্র আট জনের। তাদের মধ্যে কেবল জয়াসুরিয়াই প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৫০টির বেশি উইকেট শিকার করেছেন। তাও ৬০ উইকেট নিয়ে জয়সুরিয়ার উইকেট সাকিবের প্রায় অর্ধেক।
একটি নির্দিষ্ট মাঠে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় পাঁচ নম্বরে আছেন মুশফিকুর রহিমও। মিরপুরে ৮৩ ইনিংসে তিনি করেছেন প্রায় ২৪০০ রান।
একটি মাঠে সর্বোচ্চ উইকেটের সেরা পাঁচে আছেন সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মোর্ত্তজা। মিরপুরে এই পেসার শিকার করেছেন ৯৪ উইকেট।