প্রথম ওয়ানডের তুলনায় ব্যাটিংয়ে উন্নতিই করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের ম্যাচে তারা গুটিয়ে যায় ৩২ ওভারে, সেখানে শুক্রবার তারা খেলে ৪৪ ওভার। তাতে সফরকারীদের লাভ যে খুব বেশি হলো, তা কিন্তু নয়। মেহেদি হাসান মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তারা গুটিয়ে গেল ১৪৮ রানে। আগের ম্যাচের চেয়ে ২৬ রান বেশি করে।
টসে জিতে ব্যাটিং নেন ক্যারিবিয় অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ। একাদশে তারা যোগ করেন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান। কিন্তু হল সেই একই গল্পের পুনরাবৃত্তি। বরং আগের ম্যাচে একটি পঞ্চাশ রানের জুটি পায় সফরকারীরা। এই ম্যাচে হয়নি সেটিও। সর্বোচ্চ জুটি মাত্র ৩২ রানের!
সেটি নবম উইকেটে। ৮৮ রানে আট উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আলজারি জোসেফকে নিয়ে জুটি গড়েন রভম্যান পাওয়েল। জোসেফের বিদায়ের পর আকিল হোসেনকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত সফরকারীদের ১৪৮ রানে নিয়ে যান তিনি।
সকালের শুরুতে ভিন্ন কিছু হয়নি। ম্যাচের পঞ্চম ওভারে মুস্তাফিজের কাটারে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সুনিল আমব্রিস।
পাওয়ারপ্লেতে আর উইকেট না পড়লেও সেটি শেষ হওয়ার পরপর শুরু হয় মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের স্পিন জাদু। একই ওভারে মিরাজ ফেরান কিয়র্ন ওটলি ও জশুয়া ডা সিলভাকে।পরের ওভারেই সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বোল্ড হন আন্দ্রে ম্যাকার্থি।
ওভার দুয়েক পরে রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন আগের ম্যাচে উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করা কাইল মায়ার্স।
সাকিব ক্যারিবিয় অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফেরানোর পরের ওভারে এনক্রুমাহ বোনারকে ফিরিয়ে সফরকারীদের সাত নম্বর উইকেটের পতন ঘটান হাসান মাহমুদ।
৩০ তম ওভারে রেমন রাইফারকে পরাস্ত করে তার প্যাডে মিরাজের বল আঘাত করলেও, সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউ নিলে দেখা যায়, আউটই ছিলেন এই ব্যাটসম্যান। সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হন আম্পায়ার।
এরপর জোসেফ ও পাওয়েলের ৩২ রানের জুটিতে ১২০ রানে পৌঁছে উইন্ডিজ। সেই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। দারুণ এক কাটারে গালিতে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান জোসেফকে।
আকিলের সঙ্গে পাওয়েলের জুটি ক্যারিবিয়দের স্কোর বাড়াতে থাকে ধীরে ধীরে। খুব বেশি বিপদ তৈরির আগেই আকিলকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে সফরকারীদের ১৪৮ রানে গুটিয়ে দেন মিরাজ।
২৫ রান দিয়ে চার উইকেট - এটিই মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে যে ২৯ রানে চার উইকেট ছিল তার সেরা। সেটিও ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই, ২০১৮ সালে।
মুস্তাফিজ ও সাকিব দুজনই শিকার করেন দুটি করে উইকেট। হাসান মাহমুদ পান একটি উইকেট এবং রুবেল হোসেন টানা দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকেন।