২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন। তবে প্রথম বার হাসান মাহমুদ নজরে আসেন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। গতি ও দারুণ লাইন-লেংথ। সঙ্গে ডেথ ওভারে নিখুঁত ইয়র্কার।
সেই পারফর্ম্যান্সের ফল হিসেবে আসে গত মার্চে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে। এরপর করোনাভাইরাস প্রকোপে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নামা হয়নি বাংলাদেশের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের আগে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দারুণ পারফরম করেন হাসান। ডাক পান ওয়ানডে দলে।
প্রথম ওয়ানডেতে একাদশে জায়গা পান। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে প্রথম স্পেলের তিন ওভারে উইকেট জোটেনি ভাগ্যে। দ্বিতীয় স্পেলের শুরুটাও ভালো হয়নি। প্রথম দুই বলে হজম করেন চার। হাসান কামব্যাক করেন পরের ওভারে।
প্রথম বলেই দারুণ এক ডেলিভারিতে রভম্যান পাওয়েলকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে শুরু। যেই বল নিয়ে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো লিখল, ‘টেস্ট ম্যাচ ডেলিভারি, টেস্ট ম্যাচ উইকেট’।
পরের বলে ভাগ্যের সামান্য সহায়তা পেলেন ২১ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার। রেমন রাইফারকে পরাস্ত করে প্যাডের উপরের অংশে লাগে বল। আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলে বিদায় নিতে হয় রাইফারকে। যদিও রিপ্লে দেখাচ্ছিল, বল চলে যাচ্ছিল স্টাম্পের উপর দিয়ে। নিজেদের দুই রিভিউ নষ্ট করে ফেলায় ড্রেসিং রুমে ফেরা ছাড়া উপায় ছিল না রাইফারের।
পরের ওভারের তৃতীয় বলে হাসানের শিকার আকিল হোসেন। দ্বিতীয় স্লিপে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে আকিলকে ফিরিয়ে উইন্ডিজের নবম উইকেটের পতন ঘটান এই পেসার।
ছয় ওভারে রান দেন ২৮। নেন তিন উইকেট। সাকিব আল হাসানের চার উইকেটের সঙ্গে হাসানের তিন উইকেট মিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ১২২ রানে।