ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে বুধবার প্রায় নয় মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ। এই সিরিজ দিয়েই শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন অধ্যায়।
সেই অধ্যায়ের নাম তামিম ইকবালের অধিনায়কত্ব। গত মার্চে মাশরাফি মোর্ত্তজা অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর নিয়োগ পান বাঁহাতি এই ওপেনার। করোনা প্রকোপে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর মাঠে নামা হয়নি। তামিমেরও করা হয়নি অধিনায়কত্ব।
বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে এটিই তামিমের প্রথম সিরিজ নয়। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও দায়িত্বে ছিলেন তামিম। সেই সিরিজ বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-০ এর ব্যবধানে।
তামিমের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ তাই নতুন শুরু। এই নতুন শুরুতে তিনি গড়তে চান বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিজস্ব ব্র্যান্ড।
মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে তামিম গণমাধ্যমকে বলেন, অন্য দলকে অনুসরণ করে নয়, নিজেদের শক্তি দিয়েই গড়তে চান নিজস্ব ব্র্যান্ড।
‘আমি যেটা তৈরি করতে চাই সেটা হল বাংলাদেশি ব্র্যান্ড অফ ক্রিকেট, যেটা আমরা খেলি। অন্যদের ফলো না করে ওটাতে ফোকাস করতে চাই। যেখানে স্ট্রেংথ, যেগুলো দিয়ে আমরা ভাল খেলতে পারি সেটা দিয়ে ব্র্যান্ড। সেখানেই ফোকাস করছি’, বলেন তামিম।
তামিম বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের এমন কিছু শক্তির জায়গা আছে, যা অন্য কোনো দেশের নেই। তিনি বলেন, ‘যেটা আমি সবসময় প্রায়োরিটি দিই তা হলো বাংলাদেশি ব্র্যান্ড অফ ক্রিকেট ডেভেলপ করতে হবে। সবসময় একটা কথা বলেছি যে প্রত্যেকটা দেশের নিজের স্টাইল আছে। আমরা হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত স্ট্রং না, বা অস্ট্রেলিয়ার মত বিল্ড আপ নেই। তবে আমাদের এমন অনেক অ্যাডভান্টেজ আছে যা অন্য টিমে নাই।’
তামিম অধ্যায়ের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ অবশ্য পাচ্ছে তুলনামূলক দুর্বল এক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে। করোনার ভয় ও ব্যক্তিগত কারণে বাংলাদেশে আসেননি সফরকারীদের ১২ জন প্রথম সারির খেলোয়াড়।
তামিম অবশ্য তাদের দল নিয়ে চিন্তা করছেন না। বাংলাদেশ অধিনায়কের চিন্তা বরং নিজেদের ভালো খেলা নিয়েই।
'ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই। আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে ভালো খেলা। এখন তো সিরিজগুলো নরমাল সিরিজ না। যেখানে হারলে সমস্যা নেই। ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফাইংয়ের জন্য প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি শুধু সেটাতেই আমরা ফোকাস করছি। যেটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই সেটা নিয়ে আলাপ করে খুব বেশি লাভ নেই,' বলেন তামিম।