বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন যুগ পর ‘গ্যাবা’ দুর্গের পতন ঘটাল ভারত

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৪১

১৯৮৮ সালে আরেক সর্বজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে গ্যাবায় টেস্ট ম্যাচ হারে অস্ট্রেলিয়া। এতদিন তারা আগলে রেখেছিল সেই দুর্গ। অবশেষে পতন ঘটল সেটিরও।

অ্যালান বোর্ডারের হাত ধরে শুরু। এরপর মার্ক টেলর ও স্টিভ ওয়াহর হাত ঘুরে ৯০ দশক থেকে প্রায় ১৫ বছর ক্রিকেটের মহাশক্তি ছিল অস্ট্রেলিয়া। শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রা, রিকি পন্টিং থেকে শুরু করে অ্যাডাম গ্রিলক্রিস্টের মতো সেরাদের সেরা খেলোয়াড় খেলেছেন ব্যাগি গ্রিন মাথায়।কিংবদন্তিদের বিদায়ের পর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের পতনের শুরু ২০০৫ অ্যাশেজ হারের পর। এরপর অনেক প্রথমের স্বাদ নিয়েছে এক সময়কার সর্বজয়ীরা। দেশের মাটিতে হেরেছে অনেকগুলো সিরিজ। হেরেছে অ্যাশেজ। তারপরও একটা পরিসংখ্যান এতদিন ছিল পক্ষে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় কখনও হারে না অস্ট্রেলিয়া। অন্তত ৩২ বছরে হারেনি! অনেক পরিবর্তনের মধ্যে এটি হয়ে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম এক ধ্রুবক।১৯৮৮ সালে আরেক সর্বজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে গ্যাবায় টেস্ট ম্যাচ হারে অস্ট্রেলিয়া। এতদিন তারা আগলে রেখেছিল সেই দুর্গ। অবশেষে পতন ঘটল সেটিরও।ভারতের ‘আনকোরা’ দল অস্ট্রেলিয়ানদের ব্রিসবেনে হারিয়ে জিতে নিয়েছে বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফি। টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে ভারতীয় চার পেসারের সাকুল্যে উইকেট সংখ্যা ছিল ১৩টি। আর অজি চার ফ্রন্টলাইন বোলারের উইকেট সংখ্যা ছিল ১০৪৬টি।শুধু এটিই নয়। শেষ দিনে ৯৫.১ ওভারে ভারত রান করেছে ৩২৪। যা গ্যাবায় চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়ায় রেকর্ড। স্বাগতিক ছাড়া এর আগে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে এই মাঠে জিতেছিল ইংল্যান্ড। ১৯৮২ সালে ১৯০ রান তাড়া করে সফরকারী দল।এমন কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত ভারতের অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। ব্যাটসম্যান ও বোলারদের সমান কৃতিত্ব দিলেন তিনি।‘পুজারার কথা বলতেই হচ্ছে। যেভাবে ও চাপ সামলেছে তা সত্যিই অসাধারণ। রিশাভও শেষ দিকে দারুণ ছিল। তবে, আমরা জানতাম সবচেয়ে জরুরী ২০ উইকেট নেয়া। যে কারণে আমরা পাঁচজন বোলার নিয়ে খেলেছি,’ সিরিজ জয়ের পর বলেন রাহানে।তার প্রতিপক্ষ টিম পেইন স্বাভাবিক ভাবেই সিরিজ হারায় হতাশ। ম্যাচ শেষে হতাশা লুকাননি অজি অধিনায়ক।‘খুবই হতাশ। এখানে আমরা ম্যাচ ও সিরিজ জিততে চেয়েছিলাম। তবে দরকারের সময়ে আমরা জ্বলে উঠতে পারিনি। ভারত সবদিক থেকে যোগ্য দল হিসেবেই সিরিজ জিতেছে। এখন আমাদের সামনে তাকাতে হবে,’ বলেন পেইন।এমন জয়ের পর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে ভাসছে ভারতীয় দল। একে অনেকেই বলছেন দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয়। জয়কে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক ভিরাট কোহলি টুইট করেন, ‘কি একটা জয়! অ্যাডেলেইডের পর যারা আমাদের নিয়ে সন্দেহ করেছিলেন তারা তাকিয়ে দেখুক। দারুণ পারফর্ম্যান্স। তবে, দৃঢ়তা ও প্রতিজ্ঞাই ছিল দলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। ম্যানেজমেন্ট ও ছেলেদের অভিনন্দন।’কোহলি প্রথম টেস্টের পর সিরিজে অংশ নেননি। ভারত ইনজুরির থাবায় একে একে হারায় নিয়মিত একাদশের রভিন্দ্র জাদেজা, রভিচন্দ্রন আশউইন, জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা ও উমেশ ইয়াদভকে।সিনিয়রদের ছাড়া এই সিরিজ জয়কে ভারতের অন্যতম সেরা বলেছেন শচীন টেন্ডুলকার। দলকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি টুইটে লেখেন, ‘প্রতি সেশনেই আমরা নতুন একজন নায়ক খুঁজে পেয়েছি। যখনই আহত হয়েছি একসঙ্গে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। বিশ্বাসের সীমা ছাড়িয়ে আমরা ভয়হীন ক্রিকেট খেলেছি বুদ্ধিহীন নয়।’এই জয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবিলেও প্রভাব ফেলেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে হটিয়ে উঠে এসেছে এক নম্বরে। তাদের পয়েন্ট শতকরা ৭১.৭। অস্ট্রেলিয়া আছে তিনে। তাদের সংগ্রহে আছে ৬৯.২ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর