ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য ১৮ সদস্যের স্কোয়াডে আছেন তিন নতুন মুখ। প্রথম বারের মত জাতীয় দলের ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম এবং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান।
তাদের মধ্যে হাসান ও মেহেদি আগে বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেললেও এবারই প্রথম জাতীয় দলে ডাক পেলেন ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী পেসার শরিফুল।
শরিফুলের জন্য জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা স্বপ্ন পূরণের মত। রোববার এক ভিডিও বার্তায় জানান, যখন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছেন, তখন থেকেই ছিল এই স্বপ্ন।
‘যখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলতাম বা যখন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি তখন থেকেই ভাবতাম যে সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই, তামিম ভাই, মুস্তাফিজ ভাই ওদের সাথে যদি খেলতে পারি, থাকতে পারি। এটা স্বপ্ন ছিল। সেটা পূরণ হয়েছে। ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব যে পারফর্ম করে নিয়মিত তাদের সাথে থাকার জন্য’, বলেন শরিফুল।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী শরিফুলের কণ্ঠে ছিল বিশ্বকাপ জেতার প্রত্যয়ও। তিনি বলেন, ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের মূল একটা শক্তি ছিল যে সবাই আমরা একত্র ছিলাম, দেশের জন্য লড়ছি। আমরা সবাই যদি ফাইট করতে পারি দেশের জন্য তো ইনশাআল্লাহ আমরা আবার একদিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হব জাতীয় দলের হয়ে।’
একই স্বপ্ন ছিল তরুণ পেসার হাসানেরও। তিনি বলেন, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
‘যেদিন থেকে খেলা শুরু করেছিলাম, সেদিন থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ছিল। এখন সুযোগ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের সেরাটাই দিতে হবে। এটা দিয়ে তো আমার ক্যারিয়ার শুরু হবে’, বলেন হাসান।
বাংলাদেশের হয়ে একটি টি-টোয়েন্টি খেলা এই তরুণ পেসার জানান, যে ফরম্যাটই খেলেন, চেষ্টা করবেন নিজের বোলিংয়ের প্রক্রিয়াটি ঠিক রাখার। তিনি বলেন, ‘যখন যেখানে যে ফরম্যাটই খেলি, নিজের সেরাটা দিব। জাস্ট প্রসেসটাই মেইনটেইন করার চেষ্টা করব, নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করব।’
বাকি দুজনের তুলনায় মেহেদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘অভিজ্ঞ’ বলাই যায়। ২০১৮ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে অভিষেকের পরে বাংলাদেশের হয়ে খেলে ফেলেছেন চারটি টি-টোয়েন্টি।
মেহেদির মতে, দলে জায়গা পাওয়াটা তার জন্য চাপ নয়, বরং অনুপ্রেরণা।
‘এটা আসলে অনুপ্রেরণা। প্রেশার হবে কেনো? আমরা যেহেতু ক্রিকেটার, প্রেশার নেওয়ার কিছু নাই। যেহেতু আমরা হার্ড ওয়ার্ক করছি, চেষ্টা করছি, এটা আমাদের অনেক কিছু। প্রেশার নিতে হলে সেটা ম্যাচের ভেতরে প্রভাব পড়ে। ম্যাচের বাইরে প্রেশারটা ওরকম আসে না’, বলেন মেহেদি।
করোনার ভয় ও ব্যক্তিগত কারণে বাংলাদেশে আসেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ১২ জন খেলোয়াড়। তাতে অনেকেই সফরকারীদের দলকে বলছে দ্বিতীয় সারির দল। মেহেদি অবশ্য এসব ভাবছেন না।
‘পুরো শক্তির দল আসলেও সমস্যা ছিল না, যেহেতু আমরা মেন্টালি অনেক স্ট্রং আছি। খেলা কখনও ছোট করে দেখতে নেই, যে দলই হোক। গোল বলের খেলা যেহেতু, বড় টিম আর ছোট টিম নেই। দিনশেষে যে ভালো করবে সে রেজাল্ট পাবে’, বলেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ২০ জানুয়ারি। মিরপুরে প্রথম দুই ওয়ানডের পর শেষ ওয়ানডেটিতে হবে চট্টগ্রামে।